বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় আগামী লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখার নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। স্টেডিয়ামে তিল ধারনের জায়গা নেই। নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে তৃণমূলের ব্লক স্তর থেকে শুরু করে রাজ্য স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের সভায় নেতাজি ইন্ডোরের সভায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন। তিনি চোখের সমস্যার কারণে এই সভায় আসতে পারছেন না। তিনিই ছিলেন এই সভার প্রধান উদ্যোক্তা।তাই আপনাদের (উপস্থিত নেতা-কর্মী) সম্মান জানাতে তিনি ভার্চুয়ালি সভায় যোগ দিলেন। বক্সি বলেন, ‘‘অভিষেককেচিকিৎসকেরা ১০-১২ দিন বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। তাই তিনি বক্তৃতা করতে পারছেন না।’’
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন,একটা রাজনৈতিক দল শুধু মিথ্যা ভাঁওতা দিচ্ছে।আর মমতা কাজ করছে মতুয়াদের উন্নয়ন করছে।যারা ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা আটকেছেন তাদের ভোট নয়।
ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা আমাদের হাতিয়ার। লোকসভা নির্বাচনে এই অস্ত্রেই ঘায়েল করা হবে বিজেপিকে। যেভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে। লোকসভা নির্বাচনে এই অস্ত্রেই বিজেপি বিদায় হবে।
রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম বলেন, গোটা দেশে দু’ধরণের রাজনীতি হচ্ছে। এক, বিজেপির জাতপাত, ধর্ম আর বিভাজনের রাজনীতি। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের রাজনীতি। আর সেই জন্যই তো বাংলার বাঘিনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে তা স্বীকার করেছেন শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। আমরা সেই বাঘিনীর সৈনিক। গোটা দেশে তৃণমূলের মতো শক্তিশালী সংগঠন নেই। লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে বিজেপিকে উৎখাত করার শপথ নিতে হবে।
অশোকনগরের বিঝায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, একটা দেশে আর্থিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করাই একটি সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য। ২০০৬ সালে সংসদে আইন করে পাস হয়েছিল ১০০দিনের কাজ। যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, গরিব মানুষ সরকারের কাছে কাজ চাইলে নূন্যতম ১০০দিনের কাজ দিতে হবে। এবং সেই কাজের টাকা ১৫দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলার ১৭ লক্ষ হতদরিদ্র মানুষকে কাজ করিয়ে নিয়ে টাকা দিচ্ছে না। এমন অসভ্য, বর্বর কেন্দ্রীয় সরকার এর আগে দেখা যায়নি। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের পাওনা আদায়ে দিল্লিতে দরবার করেছেন, কিন্তু মন্ত্রী দেখা না করে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। লোডসভায় এর জবাব দিয়ে কড়ায়-গণ্ডায় পুষিয়ে দেওয়া হবে।
বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, ইডি-সিবিআই লাগিয়ে তৃণমূলকে শেষ করতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু এরা চেনে না বাংলাকে। ২০২৪-এ বেইমানদের কাছে মাথা নত করবে না বাংলা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে একশো দিনের কাজের দাবিতে ধরনা কর্মসূচি পালন করেছি আমরা। এখনও একশো দিনের কাজের টাকা মেটানোর নাম নেই, খালি দুর্নীতির কথা। কোথায় দুর্নীতি, সবই ষড়যন্ত্র।
রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, একশো দিনের কাজের দাবিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে ধরনা দিয়েছি আমরা। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কর্মসূচি স্থির করে দেবেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আমরা সেই মতো কাজ করব। গ্রাসরুট স্তর থেকে আমাদের লড়াই তুলে আনতে হবে। রাজ্য ও তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার চা বাগানগুলির উন্নয়নে যেভাবে কাজ করছে, তাতে গরিব শ্রমিক পরিবার উপকূত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তারা জমির পাট্টা পেয়েছে, এর আগে কেউ তাদের জন্য এই উদ্যোগ নেয়নি।





































































































































