রেশন দুর্নীতি মামলায় আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল।ইডির দাবি, রাজ্যের একাধিক সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নিয়ন্ত্রণ করতেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান।এমনকী সমিতিগুলির আইডি ও পাসওয়ার্ড জানতেন বাকিবুর!ইডির আরও দাবি, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো ভুয়ো কৃষকদের নাম লেখা হত সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির তালিকায়। এই পদ্ধতিতে রেশন বণ্টনের নামে কোটি কোটি টাকা তছরূপ করেছেন বাকিবুর ও তাঁর সঙ্গীরা।এই দাবির স্বপক্ষে বেশ কিছু তথ্য আদালতে পেশ করেছে ইডি।কিন্তু বাকিবুরের এই বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে কারা, তা জানার চেষ্টা করছেন ইডির তদন্তকারীরা।
বাকিবুর গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর একাধিক চালকল ও গমকলে তল্লাশি চালায় ইডি। এরপরই তারা নিশ্চিত হন যে, বাকিবুরের প্রত্যেকটি চালকলই সরকারিভাবে নথিভুক্ত ছিল।ফলে এই মিলগুলিতে আসত রেশনের চাল। বিপুল পরিমাণের সেই চাল সরিয়ে বাজারে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হত।ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বাকিবুরের একটি চালকলে তল্লাশি চালিয়ে ১০৯টি স্ট্যাম্প ও সিল উদ্ধার হয়। সেগুলির মধ্যে যেমন খাদ্য দফতরের সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি সরকারি সংস্থার আধিকারিকদের স্ট্যাম্প রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিভিন্ন জেলার বেশ কয়েকটি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির স্ট্যাম্প আর সিল। ওই সমিতিগুলি নিয়ে ইডি তদন্ত করছে।
জানা গিয়েছে, সমিতির কয়েকজন কর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে, রাজ্যের বেশ কয়েকটি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নিজস্ব আইডি ও পাসওয়ার্ড বাকিবুর রহমানের দখলে ছিল। বাকিবুর নিজের প্রয়োজনে ইচ্ছামতো তাঁর কর্মচারীদের দিয়ে সমিতিগুলির কম্পিউটার ব্যবহার করতেন।বহু কৃষক নিজেদের ফলানো শস্য সরাসরি সরকার পরিচালিত সমবায়কে না দিয়ে বাধ্য হতেন এজেন্টদের হাতে তুলে দিতে।ইডির অভিযোগ, বকলমে এই এজেন্টদের পরিচালনা করতেন বাকিবুর রহমানই।যদিও সমবায়ের রেকর্ডে দেখানো হত, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা হয়েছে। এই ক্ষেত্রেই ভুয়ো কৃষকদের নামের তালিকা তৈরি করা হত।
কোন কৃষকের নামে ধান বিক্রির কত টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে, সেই তথ্যের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ থাকত সেই বাকিবুরের হাতেই।সেই সূত্রেই অঙ্কিত ইন্ডিয়ায় তল্লাশি চালিয়ে ইডি ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে।





































































































































