ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কোপের মুখে: ফের বিস্ফোরক মহুয়া

0
4

টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে এথিক্স কমিটির কোপের মুখে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের প্রস্তাব করেছে কমিটি। এই ইস্যুতেই এবার পাল্টা সরব হলেন মহুয়া। অভিযোগ করলেন, মোদি-আদানির ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কোপে পড়েছি। অনৈতিকভাবে এথিক্স কমিটি আমাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। যদিও একইসঙ্গে মহুয়া জানালেন, তাঁর সাংসদ পদ যদি শেষ পর্যন্ত বাতিলই হয়, তাহলে তা হবে তাঁর গর্বের স্মারক।

এথিক্স কমিটির তরফে মহুয়ার সাংসদ বাতিলের প্রস্তাবে পর সংবাদমাধ্যমকে মহুয়া বলেন, “পুরোটাই বিজেপির চক্রান্ত। সাসপেনশনের সুপারিশ করলেও বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে না এথিক্স কমিটি। কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। ৫০০ পাতার রিপোর্টে ক্যাশের কোনও নাম গন্ধ নেই, পুরোটাই একটা মিথ্যে কথা। কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই আদানির হাতে সব বন্দর ও বিমানবন্দর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৪ বার কেন, ৪০ বার দুবাই যাব, ১০০ বার বিদেশ যাব, মোদির অনুমতি নিতে হবে?” ২০২৪ সালের রাজনীতিতে মহুয়া আদৌ টিকিট পাবেন কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে মহুয়া বলেন, “কেউ কেউ বলছে আমি নাকি টিকিট পাব না। আমি নাকি কৃষ্ণনগরে লড়াই করব না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমি দাঁড়াব ও দ্বিগুণ ভোটে জিতব।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিপুল মোদি ঝড়ের মাঝেও প্রায় ৭৫ হাজারের বেশি ভোটে কৃষ্ণনগরের লোকসভা আসনে জয়লাভ করেছিলেন মহুয়া।

এদিকে সাংসদ পদ হারানোর আশঙ্কার মধ্যেও এদিন মহুয়া পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, সংসদের পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম দিনের আগে আমাকে বহিষ্কার করতে পারবে না। একবার ওরা সেটা করুক, তার পর আমরা বুঝে নেব। মহুয়া আরও বলেন, সংসদে তাঁর করা যে ৬১টি প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেগুলির প্রত্যেকটিই জনস্বার্থে তিনি করেছিলেন। তৃণমূল সাংসদ দাবি করেছেন, পৃথিবীর যে কাউকে দিয়ে তিনি প্রশ্ন লিখিয়ে আনতে পারেন। নিজের বন্ধু দর্শন হিরানন্দানি বিদেশে থাকাকালীন তিনি তাঁর থেকে সেই সাহায্যটুকুই নিয়েছিলেন। মহুয়ার চাঞ্চল্যকর দাবি, ৫০০ পাতার যে রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করা হয়েছে, সেখানে কারও সাক্ষ্য নেই। মহুয়ার কথায়, “এরা সংসদীয় গণতন্ত্রকে নিয়ে উপহাস করছে।”