অতীত ভুলে এগিয়ে চলো: ভোটের আগে রাহুলের পরামর্শ প্রকাশ্যে আনলেন পাইলট

0
2

রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে সব কিছু ঠিক থাকলেও কংগ্রেসের অস্বস্তি শুধুমাত্র অশোক গেহলট ও শচীন পাইলটের দ্বন্দ্ব। যদিও সেসব ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন দুজনেই। নির্বাচন শেষ হলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন সে প্রশ্ন ওকে দিতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই? এমনই প্রশ্নের মুখে পড়ে বৃহস্পতিবার জবাব দিলেন শচীন পাইলট। তুলে ধরলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বাণীও। তিনি জানালেন রাহুল গান্ধী তাকে ক্ষমাশীল হয়ে পুরোনো দ্বন্দ্ব ভুলে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা সময়মতো নির্বাচিত বিধায়ক ও শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন।

রাজস্থানের মাটিতে পাইলট ও গেহলটের দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ মুখ্যমন্ত্রীর পদ। গত ৫ বছর ধরে সেই দন্দ চলার পর নির্বাচনের আগে ফের গেহলট বলেছেন, “আমি ছাড়তে চাইলেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার আমাকে ছাড়তে চায় না।” অশান্তির সেই পর্যায়ে কাটিয়ে এবার অবশ্য ঐক্যের সুর পাইলটের গলায়। তিনি বলেন রাহুল গান্ধী আমাকে ক্ষমা এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সে কারণে আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে। রাজস্থানের আগামী পাঁচ বছরের রোডম্যাপের দিকে তাকিয়ে। ঐক্যবদ্ধ কংগ্রেস জয়ী হবে। তার পর জয়ী প্রার্থী এবং শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবে কে কোন পদে বসবেন।

শুধু তাই নয় কংগ্রেস জমানায় রাজস্থানের উন্নয়নের ঢালাও প্রশংসা করে পাইলট বলেন, ২০১৮-তে বিরোধী শিবিরে ছিল দল। এবার মানুষ দেখেছে গত পাঁচ কতটা কাজ হয়েছে। গ্রামে গ্রামে পৌঁছেছে উন্নয়ন। এবার নির্বাচন ঐতিহাসিক। কারণ রাজস্থানে ভোটের প্রথা (পাঁচ বছর শাসক দল বদল) ভাঙবে, ক্ষমতায় ফিরবে কংগ্রসেই। একই সঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেস কোনওরকম ফাটল নেই। বিজেপিতেই দলাদলি, উত্তেজনা, মারামারি। ভুল পদ্ধতিতে টিকিট বিতরণ করা হয়।”