বিষ্ণুপুরের বিধায়কের অফিস-চালকলে আয়কর হা.না! বিজেপির “প্যা.নিক রিঅ্যাকশন”: ক.টাক্ষ কুণালের

0
2

ফের বিজেপির (BJP) প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ সামনে আনল তৃণমূল (TMC)। বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) বিধায়ক তন্ময় ঘোষের পরিবারের (Tanmoy Ghosh) নামে থাকা চালকলে আয়কর অফিসাররা (Income Tax Officers) হানা দেন। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ আয়কর দফতরের একাধিক গাড়ি তন্ময় ঘোষের বিধায়ক কার্যালয়ের সামনে এসে থামে। গাড়ি থেকে নেমে আয়কর অফিসারদের একটি টিম বিধায়কের অফিসে ঢোকেন বলে খবর। বাইরে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আর এমন ঘটনার পরই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির ‘রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার’ ছবি সামনে আনলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

এদিন কুণাল ঘোষের অভিযোগ, কতখানি প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে এমন হয়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এলেই তাঁর পিছনে ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যতদিন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক বিজেপিতে ছিলেন তাঁর চালকল, ব্যবসা দেখতে কেউ গেল না। আর যখনই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন তখনই তাঁর পিছনে ইডি, সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া হল। এরপরই জোর গলায় কুণাল বলেন, আসলে বিজেপি ভয়ে কাঁপছে। বিজেপি জানে তাঁদের একের পর এক সাংসদ, বিধায়ক দল ছেড়ে তৃণমূলে চলে এসেছেন এবং আরও কয়েকজন আসতে চান। আর সেকারণেই ভয় দেখানোর জন্য এসব করা হচ্ছে। তবে বিজেপির এসব ধমকানি, চমকানিতে যে কেউ ভয় পাবে না তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন কুণাল। তিনি জানান, এটা ইডি, সিবিআই বা আয়কর দফতরের তল্লাশি নয়, এটা বিজেপির প্যানিক রিঅ্যাকশন। যারা চলে যাচ্ছে দল থেকে তাঁদের বার্তা দিতেই এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে গদ্দার শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল মুখপাত্রের অভিযোগ, যখন তৃণমূলে ছিল তখন বিজেপি দাবি তুলল নারদ কেলেঙ্কারিতে চোর শুভেন্দু, তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চাই। কিন্তু কয়েকদিন পরেই যখন শুভেন্দু দলবদল করে বিজেপিতে গেল তারপর থেকেই শুভেন্দু সাধু। তাঁর বিরুদ্ধে আর সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয় না। এখানেও সেই একই ঘটনা ঘটেছে। এটা বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই নয়। বিজেপির অসহায়তা ফুটে উঠছে। তাই ঘর সামলাতে এখন ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরই ভরসা।

তবে এদিন শুধু বিধায়কের অফিসেই নয়, বিষ্ণুপুর শহর লাগোয়া চূড়ামণিপুর এলাকায় বিধায়ক তন্ময় ঘোষের পরিবারের নামে একটি চালকল রয়েছে। সেখানেও পৌঁছে গিয়েছেন আয়কর অফিসাররা। স্থানীয় সূত্রে খবর, আয়কর দফতরের প্রায় ৫-৬ জনের একটি টিম সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। সেখানেও চালকলের বাইরে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি তাঁর একটি মদের দোকানেও এদিন হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এদিন চালকলের আয়ব্যয়ের হিসেব খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সমস্ত ফাইল খতিয়ে দেখেন আয়কর দফতরের ৭-৮ জনের একটি প্রতিনিধি দল। মদের দোকানের লেদার বুকও পরীক্ষা করে দেখছেন তাঁরা। তবে ব্রত্মানে কলকাতায় রয়েছেন বিধায়ক।