দীর্ঘ এক মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। আর এই যুদ্ধের বলি হচ্ছেন অসহায় সাধারণ নর-নারী। যদিও তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। তিনি জানিয়ে দিলেন, প্রাণ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তায় কিছুক্ষণের জন্য যুদ্ধ থামতে পারে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কোনভাবেই নয়।
হামাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে আমেরিকা ইজরাইলকে সমর্থন করলেও সাম্প্রতিক সময়ে মানবিকতার খাতিরে যুদ্ধ বিরতির আবেদন জানিয়েছে তারা। এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি আমেরিকান টেলিভিশন চ্যানেলে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ত্রাণ ইত্যাদি বিশেষ প্রয়োজনে সাময়িক ভাবে যুদ্ধ আমরা আগেও থামিয়েছি, ভবিষ্যতেও থামাব। ত্রাণসামগ্রী পাঠানো, আমাদের পণবন্দিদের উদ্ধার করে দেশে ফেরানোর জন্য কোথাও এক ঘণ্টা, কোথাও দু’ঘণ্টার ‘বিরতি’তে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সাধারণ ভাবে যুদ্ধবিরতি এখনই হচ্ছে না।’’ বরং হামাসকে সমূলে বিনষ্ট করার যে প্রতিজ্ঞা নেতানিয়াহু করেছিলেন, তাতেই এখনও বদ্ধপরিকর ইজরায়েল।
গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় এবং বহু ইজরায়েলি নাগরিককে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। এর পরেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু। সেদিন থেকে টানা এক মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে এখনো পর্যন্ত গাজায় ১০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আরব দেশগুলির তরফে গাজায় যুদ্ধ থামানোর জন্য ক্রমশ ইজরায়েলের উপর চাপ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। হামাসের সমর্থনে অস্ত্র ধরেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লা। ইয়েমেনের হুথিরাও ইজরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। যুদ্ধ না থামালে ইরান প্রকাশ্যেই আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েলকে। হামাস ইসরাইল দ্বন্দ্বে রীতিমতো উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার।