
লালন ফকির (১৭৭৪-১৮৯০) জন্মদিন ও মৃত্যুদিন। তিনি সহজ সরল কবিত্বময় গানের মাধ্যমে জীবনের আদর্শ, মানবতাবাদ ও অসম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁর গানে আকৃষ্ট হয়েছিলেন ও নানা রচনার মধ্যে দিয়ে লালন ও তাঁর গানের মর্মবাণী প্রচার করেছিলেন। তাঁর পূর্ববর্তী কোনও বাউল গানের নিদর্শন সংকলিত হয়নি। সঙ্গের ছবিটি রবীন্দ্রনাথের দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের আঁকা। এটিই লালনের জীবদ্দশায় আঁকা একমাত্র ছবি।

স্মিতা পাটিল (১৯৫৫-১৯৮৬) এদিন পুণেতে জন্ম নেন। হিন্দি-বাংলা-মারাঠি সমান্তরাল সিনেমার অভিনয়ের পাশাপাশি বাণিজ্যিক হিন্দি ছবিতে স্বকীয় ভঙ্গিতে অমলিন। দূরদর্শনের সংবাদপাঠিকা হিসেবে কেরিয়ার শুরু। থিয়েটারে কাজের সময় ডাক আসে বড় পর্দার। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ছবিতে তখন নিজেকে মেলে ধরতে থাকেন স্মিতা। ‘মন্থন’, ‘ভূমিকা’, ‘আক্রোশ’, ‘চক্র’, মির্চ মশালা’, ‘বাজার’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘মান্ডি’, ‘অর্ধসত্য’-র মতো সমান্তরাল সিনেমা ছাড়াও ‘অর্থ’, ‘শক্তি’, ‘নমক হালাল’, ‘আজ কা আওয়াজ’— সবেতেই দাপুটে অভিনয় ছিল তাঁর। খ্যাতির মধ্যগগনে থাকাকালীনই মাত্র ৩১ বছর বয়সে চলে যান স্মিতা পাটিল।

সৈয়দ আহমেদ খান (১৮১৭-১৮৯৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। এই স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতের মুসলমানদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেন। ১৮৭৬ সালে মহামেডান অ্যাংলো-ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তীতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিতি লাভ করে। তাঁর চিন্তাধারা ও কাজকর্ম ভারতবর্ষে মুসলমানদের মধ্যে একটি নতুন চেতনার জন্ম দেয়। এর প্রভাবে প্রভাবান্বিত এই মুসলমান বুদ্ধিজীবীরাই পরবর্তীতে আলিগড় আন্দোলনের সূচনা করেন যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় রাজনীতিতে মুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করা।

১৯৭৯ মাদার টেরিজা
মাদার টেরিজা এদিন নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। মানুষের হাসিই ছিল তাঁর আনন্দ, কল্যাণ ছিল তাঁর ব্রত; বিশ্বশান্তির পায়রা বলে অভিহিত করা হত তাঁকে। নোবেল বক্তৃতায় মাদার বলেন, “আমি চাই আপনারা দরিদ্রদের খুঁজে বের করবেন, সেটি শুরু হোক নিজের বাড়ি থেকেই। সেখান থেকেই ভালবাসার শুরু হোক। নিজের লোকদের জন্য ভাল খবর হয়ে উঠুন। নিজের বাড়ির পাশের প্রতিবেশীদের খোঁজ রাখুন।”
ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬৯-১৯৩৭) এদিন প্রয়াত হন। বাবা রবীন্দ্রনাথের সেজদাদা হেমেন্দ্রনাথ, মা নীপময়ী দেবী। সংস্কৃত ও প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র। সংস্কৃতে ব্যুৎপত্তির জন্য ‘তত্ত্বনিধি’ উপাধি পান। ১৯১৫ থেকে ১৯২৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার (১৮৯১-১৯৫৪) এদিন মারা যান। সারদা দেবীর কাছে দীক্ষিত সত্যেন্দ্রনাথ স্বামী সারদানন্দের ইচ্ছায় স্বামী বিবেকানন্দের জীবনচরিত রচনা করেছিলেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন সম্পাদিত ‘নারায়ণ’ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯২৬ থেকে ১৯৪১-এর ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এরপর ‘স্বরাজ’, ‘অরণি’, ‘সত্যযুগ’ প্রভৃতি পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ‘নন্দীভৃঙ্গী’ ছদ্মনামে শ্লেষাত্মক ও ব্যঙ্গরসে পূর্ণ রচনা লিখতেন।





































































































































