আজ সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের (১৯৩০-২০১২) জন্মদিন। বাংলা সাহিত্যে তিনি সেই বিরল কথাশিল্পীদের একজন, যাঁদের লেখার ছত্রে ছত্রে জড়িয়ে আছে দেশের মাটি ও মানুষের কথা। লোকনাট্য দল আলকাপের সদস্য হয়ে তিনি লোকসংস্কৃতির গভীর অসাম্প্রদায়িক চেতনার মধ্য দেখেছেন হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে এই দেশের মানুষকে। তাঁর প্রকাশিত উপন্যাস ও ছোট গল্পের সংখ্যা আড়াইশোরও বেশি। তাঁর লেখা ‘তৃণভূমি’, ‘মায়ামৃদঙ্গ’, ‘জানমারি’, ‘জনপথ জনপথ’ প্রভৃতি উপন্যাস বদলে যাওয়া গ্রামবাংলার জীবন্ত দলিল। ‘অলীক মানুষে’র জন্য সাহিত্য আকাদেমির পুরস্কার পেয়েছেন। ছোটদের জন্য তাঁর সৃষ্ট চরিত্র গোয়েন্দা কর্নেল।
শৈল চক্রবর্তী(১৯০৯-১৯৮৯) এদিন প্রয়াত হন। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী, কার্টুনিস্ট ও ইলাস্ট্রেটর। চিত্রকলায় স্বশিক্ষিত। দৈনিক বসুমতীর পাতায় শিবরাম চক্রবর্তীর কলম ‘বাঁকা চোখে’র সঙ্গে তাঁর কার্টুন বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তিনিই একমাত্র শিল্পী যিনি রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় তাঁর ইলাস্ট্রেশন করেন। শারদীয় আনন্দবাজার পত্রিকায় ১৩৪৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয় ‘ল্যাবরেটরি’। সেটিতে অলংকরণ শিল্পী ছিলেন শৈল। লেখক হিসেবেও কৃতী ছিলেন। যুগান্তর পত্রিকায় তাঁর লেখা মজাদার সায়েন্স ফিকশন প্রকাশিত হত। ‘ছোটদের ক্রাফট’ গ্রন্থের জন্য ভারত সরকারের তরফে তাঁকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। দেশে-বিদেশে তাঁর আঁকা ছবির প্রদর্শনীও হয়েছে।
নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯৩১-১৯৮৬) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত সেতারশিল্পী। পিতা জীবেন্দ্রনাথের কাছে সংগীতের হাতেখড়ি। তাঁর বিশিষ্ট শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন আলাউদ্দিন খাঁ, আলি আকবর খাঁ, অন্নপূর্ণাশঙ্কর প্রমুখ। পদ্মশ্রী উপাধি পেয়েছেন, লাভ করেছেন সংগীত নাটক অ্যাকাডেমির পুরস্কারও।

১৯৫৬ মহেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৬৮-১৯৫৬) এদিন প্রয়াত হন। স্বামী বিবেকানন্দের ছোট ভাই। আমাদের কালের অনন্য এক দার্শনিক, দুঃসাহসী, গবেষক, চিন্তানায়ক, ইতিহাসবিদ, পরিব্রাজক এবং উদাসী এক সাধক। তাঁর নামাঙ্কিত বইগুলি ছাড়া এ দেশের রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ আন্দোলনকে পুরোপুরি বোঝা প্রায় অসম্ভব। সব রচনা বোধ হয় আজও গ্রন্থিত হয়নি, কিন্তু ভক্তজন ও অনুরাগীদের এই সব স্মৃতিসঞ্চয়ে বিবেকানন্দ অ্যান্ড ফ্যামিলির যে সব খবরাখবর ছড়িয়ে আছে, তা বিস্ময়কর।
লক্ষ্মীকান্ত বেজ বড়ুয়া (১৮৬৪-১৯৩৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। আধুনিক অসমীয়া সাহিত্যের পথ-প্রদর্শক। কবিতা, নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, রম্যরচনা, সমালোচনা, প্রহসন, জীবনী, আত্মজীবনী, শিশুসাহিত্য, ইতিহাস সংক্রান্ত গবেষণা, সাংবাদিকতা ইত্যাদিতে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি কৃপাবর বড়ুয়া ছদ্মনামে সাহিত্য রচনা করতেন। ঠাকুরবাড়ির মেয়ে প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী তাঁর পত্নী।
আমেরিকার সেনাবাহিনীর মেজর রিচার্ড হেয়সার এদিন মাঝরাতে সবার চোখ এড়িয়ে কিউবাতে প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকে এমন কিছু ছবি তুলে আনেন, যেগুলোর থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় সোভিয়েত সহায়তায় কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহ করছে এবং তখনই না হলেও কিছুদিনের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রও করায়ত্ত করবে তারা। ৩৬ ঘণ্টা পর বিষয়টি জানানো হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে। তিনি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে তৎপর হলে বিশ্ব নিরাপত্তায় সংকট তৈরি হয়।
অশোকতরু বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯৩০-১৯৯৩) এদিন কলকাতায় একটি ব্রাহ্ম পরিবারে জন্ম নেন। বাবা শম্ভুনাথ এবং মা সুলেখা, দু’জনেই শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী ছিলেন। অশোকতরু রবীন্দ্রসংগীতের বিশিষ্ট শিল্পী ও শিক্ষক। ১৯৪৮ থেকে বেতারশিল্পীরূপে আত্মপ্রকাশ। ‘দক্ষিণী’, ‘গীতবিতান’, জামশেদপুরে ‘টেগোর সোসাইটি’ প্রভৃতি নামী প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। তাঁর একটা খেয়ালি ভাবুক মন ছিল, যা তাঁকে ঘরছাড়া করে দিত মাঝে মাঝে।






































































































































