ইজরায়েলি সেনার পাল্টা হামলায় সুড়ঙ্গে হামাস, মানবঢাল শিশু-মহিলারা

0
2

প্যালেস্টাইনের(Palestine) জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের হামলা সামলে নিয়ে পাল্টা প্রতিঘাতে নেমেছে ইজরায়েলে(Israel)। যুদ্ধের জেরে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এদিকে ইজরায়েলের হামলার জেরে কিছুটা ব্যাকফুটে গিয়ে অন্য পন্থা অবলম্বন করেছে জঙ্গিরা। বহু ইজরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে পণবন্দি করে রেখেছে হামাস(Hamas)। ক্ষণে ক্ষণে তাদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এই মানবঢালের পাশাপাশি ইজরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে সুড়ঙ্গে আশ্রয় নিয়েছে হামাস জঙ্গিরা। লুকিয়ে থেকেই চলছে হামলা।

হামাসের তরফে দাবি করা হয়েছে, তারা ১৬৩ জন ইজরায়েলি নাগরিককে বন্দি করে রেখেছে। গাজা স্ট্রিপের কোনও একটি গোপন সুড়ঙ্গে তাদের আটকে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, বন্দি করে রাখা এই নাগরিকদেরই মানবঢাল বানাচ্ছে হামাস। কারণ তারা জানেন যে ইজরায়েলি সেনা তাদের নাগরিকদের উপরে হামলা চালাবে না। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হাতে বন্দিদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। এদিকে হামাসের হত্যালীলা রুখতে ইজরায়েলের তরফে ১ লক্ষ সেনা পাঠানো হয়েছে গাজা সীমান্তে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, বায়ুসেনাকেও হামাসের উপরে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও বহু মানুষকে পণবন্দি করে রাখার জেরে হামাসের বিরুদ্ধে এখনও সেভাবে রুদ্রমূর্তী ধরেনি ইজরায়েল। পাল্টা হামলার পাশাপাশি পণবন্দিদের উদ্ধার করাই এখন ইজরায়েলের প্রধান লক্ষ্য। জানা যাচ্ছে, হামাসের হামলায় এখনও অবধি ২৮ জন বিদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১১ জন নেপালের নাগরিক, ৪ জন আমেরিকা, ২ জন ইউক্রেন ও ১২ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক। যদিও মঙ্গলবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেন, হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপরে হঠাৎই হামলা শুরু করে হামাস বাহিনী। ২০ মিনিটে ৫ হাজার রকেট ছোড়া হয় গাজা স্ট্রিপ থেকে। এরপরই পাল্টা জবাব দেয় ইজরায়েলও। শুরু হয় যুদ্ধ। ইজরায়েল প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত ৪ দিনের সংঘর্ষে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গাজার প্রশাসনের তরফেও ৭৬৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।