মোহনবাগানের জয়ের হ‍্যাটট্রিক, চেন্নাইয়ান এফসিকে হারাল ৩-১ গোলে

0
3

জয়রথ ছুটছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের।এএফসি কাপ হোক বা আইএসএল, মোহনবাগানের জয়রথ ছুটছে। পাঞ্জাব এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি-র পর লিগের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে চেন্নাইয়ান এফসি-কে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক করল জুয়ান ফেরান্দোর দল। সেইসঙ্গে ডুরান্ড কাপে ডার্বি হারের পর টানা দশ ম্যাচ জিতল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। শনিবার চেন্নাইয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ওয়েন কোয়লের চেন্নাইয়ান এফসি-কে ৩-১ গোলে হারাল সবুজ-মেরুন। বাগানের গোলদাতা দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন ক‍্যামিন্স ও মনবীর সিং।

এদিন অনবদ্য ফুটবল খেলে ম্যাচের সেরা সাহাল আব্দুল সামাদ। তিনটি গোলের পিছনেই অবদান তরুণ ভারতীয় মিডফিল্ডারের। জয়ের হ্যাটট্রিক করে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে মোহনবাগান। গত মরশুমে এই চেন্নাইয়ানের কাছে আইএসএলের প্রথম ম্যাচেই হেরেছিল জুয়ানের দল। সেই হারের যন্ত্রণার ক্ষতে প্রলেপ দিতেই সমর্থকদের জয় উপহার দিতে চেয়েছিলেন জুয়ান ও তাঁর ফুটবলাররা। হতাশ করেননি দিমিত্রিরা। শুরু থেকে আগ্রাসী মেজাজে শুরু করেছিল চেন্নাইয়ান। নিনথোই মিতাই, রহিম আলিদের সামনে সুযোগও চলে আসে। কিন্তু মোহনবাগান রক্ষণ সজাগ থাকায় বিপদ বাড়েনি। চেন্নাইয়ানের চাপ সামলে দ্রুত পাল্টা আক্রমণে ওঠে মোহনবাগান। জুয়ান এদিন দিমিত্রি, কামিন্স জুটিকে আপফ্রন্টে রেখে পিছন থেকে উইথড্রল খেলান হুগো বৌমোসকে। মনবীর সিং ও লিস্টন কোলাসো দুই উইং দিয়ে আক্রমণ শানান। মাঝখানে ফ্রি ফুটবলার হিসেবে অপারেট করেন সাহাল। তাঁর স্কিলের সৌজন্যেই ২২ মিনিটে গোলের লকগেট খুলে ফেলে মোহনবাগান।সাহালের নিচু ক্রস থেকেই দুরন্ত হেডে গোল করেন দিমিত্রি। বিরতির আগেই ২-০ করে সবুজ-মেরুন। এবারও গোলের পাস সাহালের। সাহালের থ্রু চেন্নাইয়ানের ফুটবলারের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে ছোট বক্সে ক‍্যামিন্সের কাছে যায়। সামনে এগিয়ে আসা চেন্নাইয়ান গোলরক্ষককে টপকে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি অস্ট্রেলীয় বিশ্বকাপার।

বিরতির পর গোল শোধের মরিয়া চেষ্টায় আক্রমণে ঝাঁজ বাড়ায় চেন্নাইয়ান। ৫৫ মিনিটে গোলও পেয়ে যায় তারা। ফ্রি-কিক থেকে পরিবর্ত রাফায়েল ক্রিভেলারো গোল করেন। যদিও বলটি ওয়ালে শুভাশিস বোসের কাঁধে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢোকে। কিছু করার ছিল না মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথের। গোল হজম করার মিনিট খানেকের মধ্যেই ব্যবধান বাড়ায় সবুজ-মেরুন। সেই সাহালের দুর্দান্ত পাস থেকে ফাঁকায় দাঁড়ানো মনবীর ৫৬ মিনিটে গোল করেন। শেষ দিকে অনিরুদ্ধ থাপা সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে মোহনবাগানের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। গোল নষ্ট করেন দিমিত্রি, সাহালরাও। শেষ দিকে আর্মান্দো সাদিকু, গ্লেন মার্টিন্স, হেক্টর ইয়ুস্তেদের নামিয়ে রক্ষণ মজবুত করে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেও গোল আর আসেনি বাগানে।

আরও পড়ুন:বিশ্বকাপে লঙ্কানদের ১০২ রানের হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা