বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) দর্শন বিভাগের পড়ুয়া। পান্নাকারা থাই নামের এই পড়ুয়া মায়ানমারের (Mayanmar) বাসিন্দা বলে খবর। এবার সেই গবেষক ছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা সকলেই বীরভূমের দুবরাজপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের অনুমান, টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ। তবে পুলিশ সাফ জানিয়েছে, যাদের গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে তারা দুবরাজপুরের চুল ব্যবসায়ী। অপহৃত মায়ানমারের ছাত্রও পূর্ব মেদিনীপুরের এক চুল ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসা করত। আর সেখানেই ৬ কোটি টাকা লেনদেন নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। মায়ানমারের ওই ছাত্রটি ৫ কোটি টাকা দিলেও বাকি টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদ চরমে ওঠে। শনিবার পুলিশ সুপার রাজানারায়ণ মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ইতিমধ্যে ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যে তালসারি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত পড়ুয়াকেও।
এরপরই পূর্ব মেদিনীপুরের ওই ব্যবসায়ী দুবরাজপুরের চুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই পড়ুয়াকে অপহরণ করে। তবে খুব দ্রুত অপহৃত পড়ুয়াকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। শান্তিনিকেতনের ইন্দিরা পল্লি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত পিএইচডি ফাইনাল বিভাগের ছাত্র পান্নাকারা। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ, ৭ থেকে ৮ দুষ্কৃতী আসে গাড়ি নিয়ে। প্রথমে ইন্দিরা পল্লি পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে প্রথমে তারা ছাত্রটির ছবি দেখিয়ে খোঁজ করে। পরে ছাত্রটি যে ভাড়া বাড়িতে থাকত সেই ভাড়া বাড়িতে ঢুকে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এমনকি পান্নাকারার সঙ্গে যে বন্ধু থাকত, তারও মোবাইল ফোন অভিযুক্তরা নিয়ে চলে যায়।
এদিকে ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায় ওই ছাত্রের বন্ধু। সঙ্গে সঙ্গে মেল করে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বোলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বভারতীর অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।