রাজ্য মন্ত্রিসভায় একটি ছোট রদবদল করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আর সেই রদবদলের জন্য তিনদিন আগে রাজভবনকে চিঠি পাঠিয়েছে নবান্ন(Nabanna)। তবে সেই চিঠিতে সই না করে ফেলে রেখেছেন রাজ্যপাল(Govornor)। সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা দফতরে রাজ্যপালের স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনার মধ্যে রাজ্যপালের এই মন্ত্রিসভায় রদবদলের চিঠি সাক্ষর না করা বিতর্ক আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
নানা বিষয় নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপাল সংঘাত নতুন নয়। উপাচার্য নিয়োগ হোক বা পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন আনন্দ বোস। সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চাপানউতোর চরম আকার নিয়েছে। রাজ্যের অভিযোগ, সরকারকে না জানিয়েই এক তরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল, রাজ্যের অভিযোগ, সরকারের আলোচনা না করেই রাজভবন বিজ্ঞপ্তি জারি করছে। এই নিয়ে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই আবহেই বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস পয়লা বৈশাখে করানো নিয়ে রাজ্য সরকার প্রস্তাব আনে। সেই প্রস্তাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপাল সই না করলেও ১ বৈশাখ বাংলা দিবস পালন হবে। তারমধ্যেই মন্ত্রিসভা রদবদল নিয়ে সংঘাত বাঁধল নবান্ন ও রাজভবনের।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩ অগস্ট শেষ বার মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছিলেন তিনি। তারপর থেকে এক বছরে আর মন্ত্রিসভায় কোনও রদবদল হয়নি। সূত্রের খবর, বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে বেশ কিছু মন্ত্রীর দফতর অদলবদল করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে মন্ত্রিসভায় কয়েকজন মন্ত্রীর দায়িত্বও বাড়তে পারে বলে খবর। কিন্তু রাজভবনের সবুজ সংকেত না মেলায় ঝুলেই রইল মন্ত্রিসভা রদবদলের প্রস্তাব।