দেশের জনগণ টানা নয় বছর ধরে রয়েছেন আচ্ছে দিনের আশায়। তবে আম জনতার আচ্ছে দিন না এলেও বিজেপির যে আচ্ছে দিন এসেছে তা বোঝাই যাচ্ছে। কারনটা স্বাভাবিক। সর্বশেষ আর্থিক রিপোর্টের ভিত্তিতে মোদির দল একাই ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ঘোষিত সম্পদের মালিক। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের উল্কার গতিতে সম্পদ বৃদ্ধির এই নমুনা চোখ কপালে তোলার মতো।

একদিকে যখন মোদি-ঘনিষ্ঠ আদানি গোষ্ঠীর হাতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তুলে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, অন্যদিকে তখন উল্কার বেগে সম্পদ বৃদ্ধি হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআরের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে দেশের আটটি জাতীয় দলের ঘোষিত সম্পদের মিলিত পরিমাণ ৮৮২৯. ১৫৮ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালে এই অঙ্ক ছিল ৭২৯৭.৬২ কোটি টাকা। আর এর মধ্যে সিংহভাগ টাকার মালিকানা নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিজেপি। শুধুমাত্র বিজেপির একারই ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ৬০৪৬.৮১ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাতীয় কংগ্রেস। তবে কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেসের সম্পদের পরিমাণের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। কংগ্রেসের ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ বিজেপির তুলনায় অনেক কম, ৮০৫.৬৮ কোটি টাকা।

২০২০-২১ আর্থিক বছরে বিজেপি ৪,৯৯০ কোটি টাকার সম্পদ ঘোষণা করেছিল। যা ২১.১৭ শতাংশ বেড়ে ২০২১-২২ সালে দাঁড়িয়েছে ৬০৪৬.৮১ কোটি টাকায়। এডিআরের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে কংগ্রেসের ঘোষিত সম্পদ ছিল ৬৯১.১১ কোটি টাকা। যা ১৬.৫৮ শতাংশ বেড়ে ২০২১-২২ সালে হয়েছে ৮০৫.৬৮ কোটি টাকা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মায়াবতীর বিএসপি হল একমাত্র জাতীয় দল, যাদের বার্ষিক ঘোষিত সম্পদের হ্রাস দেখানো হয়েছে। ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ সালের মধ্যে বিএসপির মোট সম্পদ ৫.৭৪ শতাংশ কমে ৬৯০.৭১ কোটি টাকা হয়েছে। আগে যা ছিল ৭৩২.৭৯ কোটি টাকা। এডিআর আরও জানিয়েছে, যে দলগুলির কাছ থেকে নগদ বা ঋণের বিবরণ নির্দিষ্ট করা উচিত এবং যদি তা মোট ঋণের ১০ শতাংশের বেশি হয় তবে এই ধরনের ঋণের প্রকৃতি এবং পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে ঘোষণা করা উচিত। কোনও জাতীয় দল এই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
আরও পড়ুন – অমীমাংসিত কর সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা আরও ১৫ দিন বাড়ালো রাজ্য





































































































































