কেন্দ্রের মোদি বিরোধী INDIA জোট আগেই সলতে পাকানো শুরু করেছিল। পাটনা, বেঙ্গালুরুর পর মুম্বইয়ের জোট বৈঠক যে আরও জমাটি। দল বেড়ে ২৮ দল। INDIA-তে ব্যাপক ঐক্যের ছবি নজর কাড়ছে। মুম্বইয়ে প্রথম দিনের মহাজোট বৈঠকের সারাংশ এটাই। আজ, দ্বিতীয় তথা শেষদিনের বৈঠকের আগে অন্তত একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলায় না লড়লে মোদি সরকারকে দিল্লির মসনদ থেকে হটানো যাবে না, সেটা সকলেই বুঝেছেন।
আরও পড়ুনঃ মহাজোটের ‘প্রধানমন্ত্রী মুখ’ নিয়ে মন্তব্যের আগে নেতৃত্বকে সতর্ক হওয়ার বার্তা মমতার
কিন্তু সেটা কি শুধু লোকসভা ভোটের জন্য? তা তো নয়। মানুষকে বোঝাতে হবে, এই সবকটি দল দেশের স্বার্থে জোটবদ্ধ। আর এই প্রয়াস শুরু হবে রাজ্য থেকে। আর এই আবর্তেই স্থানীয় কলতলার রাজনীতির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার ‘ইন্ডিয়া’র স্পষ্ট বার্তা, শুধু জোটের বৈঠকে ঐকমত্য দেখানোটা যথেষ্ট নয়। প্রত্যেক রাজ্যে যেন একই ছবি দেখা যায়। সাম্যের। সমন্বয়ের। তাই পাখির চোখ লোকসভা ভোট হতে পারে, কিন্তু অ্যাসিড টেস্ট বছর শেষে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটেই হয়ে যাবে।
আজ, শুক্রবার বৈঠকের শেষ দিন। প্রকাশিত হবে জোটের লোগো, পতাকা। এছাড়াও তৈরি হবে প্রচার কমিটি, স্থির হবে INDIA-র আহ্বায়কও। এখানেই একটা মাস্টার স্ট্রোক দিতে চাইছে মহাজোট নেতৃত্ব। নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, জোটের আহ্বায়ক তিনি হতে চান না। তাহলে কে? শারদ পাওয়ার। সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আবার একটি সূত্রের খবর, তরুণ প্রজন্মে নজর দিতে চাইছে বিরোধী নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে উঠে আসছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাঘব চাড্ডা, আদিত্য থ্যাকারের নাম। সবের নেপথ্যে বার্তা একটাই—সমন্বয়। তাই বৈঠক চলাকালীন কংগ্রেসের এক্স (টুইটার) হ্যান্ডলে গুরুত্বের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে মমতার ছবি। আবার তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে জ্বলজ্বল করছেন রাহুল গান্ধী।
জোট বৈঠকে প্রথমদিন আলোচনা হয়েছে আচমকা ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়েও। চর্চা ছিল, তাহলে কি সত্যিই ভোট এগিয়ে আনছে মোদি সরকার? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কায় সায় দিয়েছেন রাহুল গান্ধী, লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার এমনকী শারদ পাওয়ারও। রাজ্যভিত্তিক উপকমিটি গঠন এবং লোকসভা নির্বাচনে একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ের ফর্মুলা তৈরির প্রসঙ্গও উঠেছে আলোচনায়।






































































































































