চাঁদের মাটি ছোঁয়ার প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছে গোটা দেশ! চলছে যজ্ঞ, বিশেষ পুজো, নমাজ

0
2

হাতে আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। তারপরই চাঁদমামার বাড়ি পৌঁছবে ভারতের চন্দ্রযান। ঘড়ির কাঁটায় সন্ধ্যা ৬টা ৪মিনিটে শুরু হবে চাঁদের মাটিতে অবতরণের প্রক্রিয়া । সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের জন্য প্রতীক্ষা করছে গোটা বিশ্ব।অধীর অপেক্ষায় থাকা দেড়শো কোটি মানুষের দেশ ভারতবর্ষের অলিতে গলিতে মাহেন্দ্রক্ষণের প্রতীক্ষার উত্তেজনা।সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে বিজ্ঞানের অনবদ্য প্রয়োগ, চন্দ্রযানের চূড়ান্ত সাফল্যের কামনায় যাগযজ্ঞ, নমাজ, বিশেষ পুজো থেকে শুরু করে স্কুলে স্কুলে লাইভ অবতরণ দেখানোর প্রক্রিয়া। মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের এমন রাজসিক পদচারণার প্রাক্‌মুহূর্তে তাই উত্তেজনা আর বাঁধ মানছে না।

আরও পড়ুনঃশুরু কাউন্টডাউন!চাঁদের মাটি ছোঁয়ার অপেক্ষায় ইসরো

ব্রিকস সম্মেলনে জোহানেসবার্গে গিয়ে সেখান থেকেই চন্দ্রযান অবতরণের সরাসরি সম্প্রসার দেখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলে জানা গেছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সমাজমাধ্যমের নিজস্ব হ্যান্ডলে ইসরোর বিজ্ঞানীদের ভূয়সী প্রশংসা করে দেশবাসীকে একসঙ্গে চন্দ্রযানের সাফল্য কামনার আবেদন জানিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন, রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলে চন্দ্রযানের অবতরণ সরাসরি দেখানো হবে। পড়ুয়ারা যাতে এই অনবদ্য ঘটনার সাক্ষী থাকতে পারে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, রাজ্যবাসীকে নিয়ে তিনিও চন্দ্রযানের চন্দ্রে অবতরণকে উদ্‌যাপন করবেন।
এ তো গেল রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের কথা। ভারতের মহাকাশযানের প্রথম চাঁদের মাটি ছোঁয়ার মুহূর্ত নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উন্মাদনা আরও কয়েকগুণ বেশি। বাংলার বিভিন্ন জায়গাতেও চন্দ্রযানের অবতরণের সাফল্য কামনায় চলছে যজ্ঞ, পুজো। আসানসোলে চন্দ্র অভিযানে ভারতের বৈজ্ঞানিক গবেষণার সাফল্য কামনায় মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে মণ্ডপ বেঁধে মন্দিরের সামনে হোমযজ্ঞ অনুষ্ঠান পালন করা হয়েছে।
অজমের শরিফের পাশাপাশি লখনউয়ে ইসলামিক সেন্টার অফ ইন্ডিয়ায় আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ নমাজের। সেখানে বহু মানুষ চন্দ্রযানের সাফল্য কামনা করেন।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে বিশেষ ভস্ম আরতির আয়োজন করা হয়েছিল।
উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশের পরমার্থ নিকেতন ঘাটে জাতীয় পতাকা হাতে গঙ্গা আরতিতে অংশ নেন বহু সাধারণ মানুষ।