আলোচনার শিরোনামে যখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University), ঠিক তখনই বালিগঞ্জ টেকনোলোজি হস্টেলে র্যাগিংয়ের মারাত্মক অভিযোগ সামনে আসে। টানা চার বছর ধরে বিশ্বজিৎ হাজরা (Biswajit Hazra. b.Tech student)নামে বি টেকের এক ছাত্রকে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী জানান যে বাইরে থেকে মদ কিনে আনা থেকে শুরু করে জোর করে মদ খাওয়ানো, মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার করা, রুমের মধ্যে বোম মারা এমনকি তিনতলা থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও কড়া হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুট অ্যান্ড ফাইবার টেকনোলজি-র সদ্য প্রাক্তন ওই ছাত্রের অভিযোগ ছিল, তাঁকে খাবার খেতে না দিয়ে, কখনও মারধর করে, কখনও আবার ঘরের মধ্যে মূত্রত্যাগ করিয়ে দীর্ঘদিন র্যাগিং করা হয়েছে। এবার মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। এরকম কিছুই হয়নি বলেই সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি তাঁর।

অভিযোগকারী ছাত্রের সঙ্গে কী ঘটনা ঘটেছিল, র্যাগিংয়ের সঙ্গে কতজন যুক্ত ছিলেন, তা জানতে শনিবারই হস্টেল সুপার পূর্ণচন্দ্র নস্করের সঙ্গে কথা বলেন কলকাতা পুলিশে এসিপি পদ মর্যাদার এক অফিসার। বালিগঞ্জ টেকনোলোজি হস্টেলে যখন বিশ্বজিৎছিলেন, তখন তিনি বিষয়টি হস্টেল সুপার এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলেন বলেই পুলিশকে জানান। কিন্তু এরপরেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। গত শনিবার আলিপুর আদালতে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ডও করা হয়েছে। অন্যদিকে এই বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে র্যাগিং হয়নি, বোঝাপড়ার সমস্যা থাকতে পারে। একই কথা শোনা গেল কলেজের অধ্যক্ষের মুখেও। কিন্তু পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কী হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সুপার।









































































































































