রাজ্যে রফতানি ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। বাংলা থেকে মার্কিন মুলুকে রফতানি বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ‘ইন্দো আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স’ (IACC)-এর কনক্লেভে ইন্দো-ভারত শিল্পসভায় বাংলার এই অভূতপূর্ব সাফল্যের কথা তুলে ধরলেন রাজ্যের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র (Amit Mitra)। বলেন, ‘‘২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে বাংলা থেকে আমেরিকায় ১৩-১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের রফতানি হয়েছে। যা দেশের মোট ব্যবসার ১০ শতাংশ। কোভিড পরবর্তী সময়ে যা যথেষ্ট উৎসাহব্যঞ্জক।’’

বাংলা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর অলঙ্কার রফতানি হয়। সেই কথা মনে করিয়ে এদিন অমিত মিত্র বলেন, ‘‘বাংলা থেকে অলঙ্কার রফতানি হয়েছে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অলঙ্কার শিল্পে তাই আরও জোর দিতে হবে।’’ বাংলা থেকে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চিংড়ি রফতানি হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ আরিজোনার সহযোগিতায় মেদিনীপুরে ‘সেন্টার ফর রিডাকশন অফ ডিজিস অ্যামং ফিশ’ গড়ে উঠেছে। এই কেন্দ্র চিংড়ির মান যাতে রক্ষিত হয় তা নিশ্চিত করবে। বাংলা থেকে আমেরিকায় মানব চুল ৩৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি হয়েছে। বানতলা থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লাভস রফতানি হয়েছে ১৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

একের পর এক তথ্য তুলে ধরেন অমিত। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘রাজ্যে কোল বেড মিথেন তৈরি করছে দুটো সংস্থা। শেল গ্যাস তৈরি হচ্ছে। দুটো ক্ষেত্রে আমেরিকার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ‘কাস্টিং এন্ড ফোর্জিং’, শুকনো ফুল, এই সব ক্ষেত্রেও আমেরিকা বড় ক্রেতা।’’ এদিন কল্যানীতে তৈরি হওয়া ফ্লিপকার্ট কেন্দ্রের কথা মনে করিয়ে দেন রাজ্যের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা। জানান, ওখানে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এমন ধরনের ‘পার্টনারশিপ’ হলে প্রচুর চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন কনসাল জেনারেল এইচ ই এমএস মেলিন্দা পাভেক, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হর্টিকালচার দফতরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্ত, টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর-সিইও অধ্যাপক ডা. সুজয় বিশ্বাস প্রমুখ।














































































































































