একদা দৈনিক সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘনকারী পাকিস্তান(Pakistan) আপাতত শান্ত সীমান্তে। গত আড়াই বছর সীমান্তে কোনোরকম গোলাগুলি চালায়নি তারা। তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ বার তিনেক সীমান্তে(Border) গোলাবর্ষণ হয়েছিল। যাতে আহত হয়েছিলেন ৪ জন। যদিও পাকিস্তানের এহেন ভালোমানুষী ভাবের পিছনে বিশেষজ্ঞদের দাবি, অর্থনৈতিক ও সামরিক- উভয় দিক থেকেই পাকিস্তান ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে ভারতের থেকে। আর্থিকভাবে রোগ শয্যায় শুয়ে থাকা পাকিস্তান ক্ষমতাশালী ভারতকে আপাতত ঘাঁটাতে চায় না। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমীকরণের পাশাপাশি মানবিক দিকে জোর দিয়েই মূলত প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করেনি ভারত(India)।

সঙ্ঘাত এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দিকেই বরাবর নজর নয়াদিল্লির। তবে পাকিস্তান কখনই সে পথে হাঁটেনি। সম্মুখ সমরে না নামলেও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে মাঝেমধ্যেই চোরাগোপ্তা আক্রমণ চালিয়েছে তারা। কখনও নির্বিচারে গুলি, বোমা বর্ষণ করেছে। কখনও সীমান্ত পার করিয়ে পাঠিয়েছে সন্ত্রাসবাদী। কখনও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো বা অস্ত্র, মাদক সরবরাহ হয়েছে ওপার থেকে। এই সবকিছু বন্ধ করতেই বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করেছে ভারত। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তেমনই এক বৈঠক হয় দুই দেশের সেনার ডিরেক্টরেট জেনারেল স্তরে। সেই বৈঠকে পাকিস্তানকে ঠিক কী বলা হয়েছে, সুরক্ষার স্বার্থে তা প্রকাশ করা না হলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, তারপর থেকেই বন্ধ হয়েছে পাকিস্তানের অপকর্ম।
রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সালে ওপার থেকে আসা গোলাগুলিতে নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ২৪ জন ভারতীয় জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছিলেন। একই অবস্থা হয়েছিল ২২ জন সাধারণ ভারতীয় নাগরিকের। সেখানে আড়াই বছর আগে হওয়া সেই বৈঠকের পর মাত্র তিনবার ওপার থেকে উড়ে এসেছে গুলি। যাতে আহত হয়েছেন চার জওয়ান। এরপর থেকেই অবশ্য গোলাগুলির লড়াই থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে পাক সেনা। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান দেশের বর্তমান অচলাবস্থার পাশাপাশি ভারতের তরফে এমন কিছু বার্তা পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছিল যাতেই চোরাগোপ্তা হামলার পথ থেকে পিঠটান দিয়েছে তারা।













































































































































