যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর পর প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে গত জুলাই মাসেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক অমিতাভ দত্তকে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও ইস্তফা দেন তিনি। এরপরই উপাচার্যহীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেই দায়ী করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।এই আবহে নিজের ‘গা বাঁচাতে’ যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে আজ, বুধবার জরুরি বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুনঃ রাজভবনে কঠিন পিচে ব্যাট করলেন রাজ্যপাল-জায়া
এই মুহূর্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন৷ ফলে উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল আজ বিকেল পাঁচটায় রাজভবনে একটি বৈঠক ডেকেছেন। রাজ্যপালের এই জরুরি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাজভবন সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা এবং বিশ্ববিদল্যায়ের ভিতরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়য়েই আলোচনা করতে এই বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল।
গত বুধবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে হস্টেলের সামনে থেকে প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়৷ পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় নদিয়ার বগুলার বাসিন্দা ওই ছাত্রের৷ কারণেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেন মৃত পড়ুয়ার বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যদিও এই ঘটনা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে ছাত্র থেকে শুরু করে পড়ুয়ারাও। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার বিষয়টিকেই তুলে ধরেছেন।