আগামী পাঁচ বছর ভোটের ময়দানে লড়তে পারবেন না ইমরান, জানিয়ে দিল পাক নির্বাচন কমিশন

0
4

তোশাখানা মামলায় কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত শনিবার তাঁকে তিন বছরের জেলের সাজা ঘোষণার পর এবার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বড় শাস্তি শোনাল দেশের নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার পাক নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিল, আগামী পাঁচ বছর ভোটে লড়া-সহ কোনওরকম রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরান।


আরও পড়ুনঃ তোষাখানা মামলায় গ্রেফতার ইমরান খান, ৩ বছরের সাজা শোনালো পাক আদালত

ইসলামাবাদের আদালত সাজা ঘোষণার পরেই পাক পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের জামান পার্ক এলাকার বাড়ি থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে তাঁর ঠিকানা পাক পাঞ্জাব প্রদেশের কারাগার। সেখানেই এক সময় বন্দি থেকেছেন পাকিস্তানের নামজাদা রাজনীতিকেরা। দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এক সময় অটক দুর্গে বন্দি থাকতে হয়েছিল প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ১৯৯৯ সালে যখন পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখনও তাঁর ঠিকানা ছিল এই কারাগার। সে দিক থেকে দেখলে ইমরানই দেশের প্রথম কোনও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, যাঁকে অটক জেলে বন্দি রাখা হয়েছে।

তিন বছর জেলের পাশাপাশি, ইমরানের এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। চলতি বছরেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছিল, মুসলিম লিগ নওয়াজ-পাকিস্তান পিপলস পার্টির জোট সরকারের আমলে বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির কারণে আবার জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইমরানের। কিন্তু ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞায় পাক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে প্রত্যাবর্তন কার্যত অসম্ভব করে তুলল।

পিটিআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, অটক জেলের সুপার এবং পাঞ্জাব প্রদেশের অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে পদ্ধতি মেনে আবেদন করা হলেও ইমরানের সঙ্গে তাঁর আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথিতে সই করানো যাচ্ছে না তাঁকে দিয়ে। ৯ মে একটি দুর্নীতির মামলায় ইমরানের গ্রেফতারির পরে তাঁর দলের প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং সেনার সৌধে হামলার অভিযোগও ওঠে। এ বার কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনও অবনতি ঘটেনি। বড়সড় বিক্ষোভের খবরও শিরোনামে উঠে আসেনি।