লোকসভায় বি.তর্কিত দিল্লি সার্ভিসেস বিল পেশ কেন্দ্রের, বিরোধিতায় ‘ইন্ডিয়া’

0
13

বিতর্কিত দিল্লি সার্ভিসেস বিল বা অর্ডিন্যান্স বিলটি মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। লোকসভায় বিলটি পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তবে এদিন শুধুমাত্র বিলটি পেশ করা হয়েছে। বিস্তারিত আলোচনা এবং পাস করানো হয়নি। পরিকল্পনা মতোই বিলটির তুমুল বিরোধিতা করে ইন্ডিয়া জোট। বিলের বিরুদ্ধে প্রথম বক্তব্য রেখে কংগ্রেস সংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, এই বিলের মাধ্যমে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, এই বিলটির মাধ্যমে রাজ্যের থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে চায় মোদি সরকার। এছাড়াও এই বিলটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী বলে দাবি বিরোধীদের।

ইন্ডিয়া জোটের অভিযোগ, বিলের মাধ্যমে উপরাজ্যপাল এবং আমলাতন্ত্রকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিরোধী সাংসদরা বিলটির প্রবল বিরোধিতা করতে থাকায় লোকসভায় হট্টগোল শুরু হয়। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, ” আমি আপনাদের পর্যাপ্ত সময় দেব। আপনারা এখন শুধুমাত্র যে বিধির আওতায় এই বিলের বিরোধিতা করছেন, সেটি তুলে ধরুন।” যদিও তাতেও ইন্ডিয়া জোট শিবিরকে থামানো যায়নি। তৃণমূলের তরফে বিলটি পেশের বিরোধিতা করেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে এই বিষয়ে। এই বিল একনায়কতান্ত্রিক। সংবিধান অনুযায়ী, এই বিল দিল্লি সরকারের ক্ষমতা খর্ব করা। এটা স্বৈরাচার ছাড়া আর কিছুই নয় ।” সাংসদ গৌরব গগৈ এবং শশী থারুরও এই বিল পেশের প্রবল বিরোধিতা করেন। বিজু জনতা দল, ওয়াইএসআরসিপি বিলটিকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে।

দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল নিয়ে জবাবি ভাষণ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “সংসদকে দিল্লি রাজ্য বিষয়ক যে কোনও আইন পাস করার ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধান। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দিল্লি বিষয়ক যে কোনও আইন আনতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।”

আরও পড়ুন- আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের কমিশনার বদল