হাইকোর্টের নির্দেশমতো নিয়োগ মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি জেলে হাজির হলেন সিবিআইয়ের চারজন আধিকারিক। মঙ্গলবার হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, মঙ্গলবার রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে সিবিআই জেরা করবে। এমনকী হেফাজতে নিয়েও জেরা করতে পারবেন আধিকারিকরা। সেই নির্দেশ মেনেই এদিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। এসপি কল্যাণ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করছেন দু’টি পৃথক মামলার তদন্তকারী আধিকারিক মলয় দাস, ওয়াসিম আক্রম খান-সহ চার জন। সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। জেলে জেরা এখনও চলছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এই জিজ্ঞাসাবাদ ভিডিওগ্রাফিও করা হচ্ছে। আধিকারিকদের পাশাপাশি হাজির আছেন একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার হাইকোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নতুন একটি মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলাটি ওঠে। মামলাকারী সুকান্ত প্রামাণিকের তরফে আইনজীবী ছিলেন দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়।এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের নিয়োগে পরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ছক কষে দুর্নীতি করেছেন। হাই কোর্টের নির্দেশে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে আগেই অপসারণ করা হয়েছিল মানিককে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন।

প্রাথমিকে নিয়োগের অন্য একটি মামলায় মানিকের কাছ থেকে হলফনামা চেয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই হলফনামা বিচারপতির এজলাসে জমা দিতে আসেন মানিকের কন্যা স্বাতী ভট্টাচার্য। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে হলফনামাটি জমা নেননি বিচারপতি। পরিবর্তে প্রেসিডেন্সি কারা কর্তৃপক্ষকে তাঁর নির্দেশ, মানিক যাতে জেল থেকেই হলফনামা দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এরই পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশ, আজই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে পারবে সিবিআই।
আরও পড়ুন- উচ্চশিক্ষার জন্য হাভার্ড যেতে চেয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা অনুরাগের







































































































































