গত ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণ করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো।
বর্তমানে পৃথিবী থেকে আরও কিছুটা দূরে পৌঁছে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩। মহাকাশযানটির কক্ষপথের উচ্চতা দ্বিতীয় দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো। বর্তমান কক্ষপথে মহাকাশযানটি যখন পৃথিবীর সবচেয়ে নিকট অবস্থান করছে তখন তার দূরত্ব ভূপৃষ্ঠ থেকে ২২৬ কিলোমিটার। যখন মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে চলে যাচ্ছে তখন ভূপৃষ্ঠ থেকে সেটির দূরত্ব হচ্ছে ৪১ হাজার ৬০৩ কিলোমিটার। আজ দুপুর ২টো থেকে ৩টের মধ্যে ফের কক্ষপথের উচ্চতা বৃ্দ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছে ইসরো।
এর আগে ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২ মিশন। সেই ব্যর্থতার থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার চন্দ্রযান-৩-এর নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত, কৌশলগত বদল এনেছেন বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান-২ মিশনের অধরা লক্ষ্যগুলোই পুনরায় ছোঁয়ার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।
চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ডারটি পালকের মতো সফট ল্যান্ড করে রোভারটিকে স্থাপন করবে। এরপর রোভারটি চন্দ্রপৃষ্ঠে ঘোরাঘুরি করে একাধিক তথ্য সংগ্রহ করবে, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। সেই তথ্য পাঠাবে ইসরোকে।
প্রোপালশান মডিউল থেকে ল্যান্ডারটি ২৩ থেকে ২৪ অগাস্টের মধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোঁবে। বর্তমানে চন্দ্রযানটির গতিবিধির দিকে নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
আশা করা হচ্ছে, চাঁদের কক্ষপথে চন্দ্রযান-৩ প্রবেশ করবে ৩ অগাস্ট। চন্দ্রপৃষ্ঠে নির্বিঘ্নে সফট ল্য়ান্ডিং করার কথা রয়েছে ২৩ অগাস্ট। বর্তমানে একটার পর একটা স্টেজ পেরিয়ে যাচ্ছে চন্দ্রযান-৩। ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন সঠিকভাবে কাজ করছে, জানিয়েছে ইসরো।








































































































































