প্রয়াত প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডি। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বেঙ্গালুরুতেই চিকিৎসা চলছিল গত কয়েকমাস ধরে। আজ, মঙ্গলবার ভোররাতে বেঙ্গালুরুতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তাঁর মৃত্যুর খবর দেন বর্ষীয়ান নেতার ছেলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “আপ্পা চলে গেলেন।” প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে দু-দিন রাষ্ট্রীয় শোক দিবস এবং মঙ্গলবার রাজ্যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে কেরল সরকার।

আরও পড়ুন:গণতন্ত্র রক্ষায় একযোগে ল.ড়াই, বেঙ্গালুরুর বিরোধী বৈঠকের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ


প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডির মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। শোকপ্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। টুইট করেছেন কেরলের কংগ্রেস সভাপতি কে. সুধাকরণ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “যে রাজা ‘প্রেমের’ শক্তিতে বিশ্বকে বিজয়ী করেছিলেন তাঁর কাহিনি মর্মান্তিক সমাপ্তি খুঁজে পেয়েছে। আজ, একজন কিংবদন্তি ওমেন চান্ডিকে হারিয়ে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তিনি অগণিত ব্যক্তির জীবনকে স্পর্শ করেছিলেন। তাঁর শাসনকাল চিরদিন আমাদের আত্মার মধ্যে অনুরণিত হবে।”

প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে কেরল বিধানসভায় পদার্পণ করেন ওমেন চান্ডি। তারপর দ্বিতীয়বার পরাজিত হলেও তৃতীয়বার থেকে টানা ১১ বার বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। কেরলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার বিধায়ক হিসাবে রেকর্ড রয়েছে ওমেন চান্ডির। তারপর ২০০৪ সালে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হন ওমেন চান্ডি। যদিও মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেননি, ২০০৬ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে ছিলেন তিনি। এরপর ফের ২০১১ সালে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন চান্ডি।














































































































































