বিরোধীদের অক্সিজেন দিতে বিধি ভেঙে ভোটের ২৪ ঘন্টা আগে মুর্শিদাবাদে রাজ্যপাল, প্রতিবাদ তৃণমূলের

0
10

কাকভোরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে কলকাতা স্টেশন থেকে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে চেপে মুর্শিদাবাদে গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বহরমপুর, খড়গ্রাম, বেলডাঙা, ডোমকল যাওয়ার কথা রাজ্যপালের। ভোটের ঠিক ২৪ ঘন্টা আগে আনন্দ বোসের মুর্শিদাবাদ সফর ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূলের তরফে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছে। ভোটে প্রভাব ফেলতে এবং বিরোধীদের সুবিধা করে দিতেই রাজ্যপাল এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃশেষবেলার প্রচারে নন্দীগ্রামে কুণালের সঙ্গে ঝড় তুললেন ‘পর্দার মমতা’

বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছে শাসক দল। অভিযোগ, রাজ্যপাল পদের অপব্যবহার করে যেভাবে এখানে-ওখানে ল যাচ্ছেন তাতে তিনি মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গ করছেন। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা দেখার জন্য প্রশাসন রয়েছে। এই মুহূর্তে এটা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোলে। সেখানে রাজ্যপাল একটা সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছেন, তিনি বিভ্রান্তিকর মন্তব্য দিচ্ছেন।
সেই চিঠির পরেও শুক্রবার মুর্শিদাবাদ গেলেন রাজ্যপাল।

জানা গিয়েছ, আজ শুক্রবার সকালে ৬.৫০ মিনিটের ট্রেনে মুর্শিদাবাদ রওনা দেন রাজ্যপাল। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পরিকল্পনা চলছিল কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি। এবার ভোটের ঠিক আগেরদিন সেখানে গেলেন রাজ্যপাল। আর টুইট করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। প্রয়াত বিজেপি নেতা অরুণ জেটলিকে উদ্ধৃত করেই রাজ্যপালকে বিঁধেছেন তিনি। টুইটে তিনি লেখেন, রাজ্যপাল বোস নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করছেন। সাংবিধানিক ব্যবস্থা অনুযায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে পুর ও গ্রাম সংসদের নির্বাচন সংগঠিত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত। অন্য কোনও কর্তৃপক্ষ কমিশনের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে না। রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার পরামর্শ ছাড়া কোনও কাজ করতে পারেন না। সংবিধান সভার বিতর্কে রাজ্যপালদের বস্তুত অসাধারণ অকর্মণ্য কর্তৃপক্ষ (magnificent cypher) হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রয়াত অরুণ জেটলি একসময় বলেছিলেন, ‘গণতন্ত্র অনির্বাচিতদের স্বৈরতন্ত্র নয়।’ রাজ্যপাল বোসের এবিষয়ে সম্যক ধ্যানধারণার অভাব লক্ষণীয়। জনসাধারণ এহেন অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি তৈরীর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ভোটের বাক্সে উপযুক্ত জবাব দেবেন।

এদিকে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে পৌঁছে আনন্দ বোস সেখানকার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। পাশাপাশি প্রয়োজনে যে বিভিন্ন এলাকাগুলি থেকে মূলত তাঁর কাছে যে তথ্য এসেছে সেই এলাকাগুলিতে তিনি যেতে পারেন। অর্থাৎ যেখান থেকে অভিযোগ এসেছে সেই সমস্ত এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষ এবং যারা আক্রান্ত হয়েছেন বা যারা অভিযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারেন এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।