চাকরি (Job) ফিরে পেতে মরিয়া। আর সেকারণেই ফের কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন, ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। জানা গিয়েছে, আগে কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) নির্দেশ মেনেই স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারাতে হয় ববিতাকে। তাঁর জায়গায় চাকরি পান অনামিকা রায় নামে অন্য এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। এবার হারানো চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ববিতা।

এর আগে ববিতার চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে চাকরি খুইয়েছিলেন পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। যা নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায় রাজ্যজুড়ে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অঙ্কিতা অধিকারীর কাছ থেকে চাকরি ফেরত পেয়েছিলেন ববিতা। যদিও সে চাকরির তিনি দাবিদার নন বলে গত মে মাসে রায় দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে অনামিকা রায় নামে এক যোগ্য চাকরি প্রার্থীর চাকরি ববিতা সরকার পেয়েছেন বলে মামলা হয়েছিল। ঘটনার জেরে হাইকোর্টের রায়ে চাকরি যায় ববিতার। এবার সেই ববিতাই চাকরি ফিরে পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন। তবে এবার ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র এবং বিস্তারিত মেধাতালিকা প্রকাশের আবেদন জানিয়েছেন ববিতা। জানা গিয়েছে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই এই মামলার শুনানি হবে।
এদিন আদালতে ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৫,৫০০ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। পরে নিয়োগ মামলার তদন্তে ৯০৭টি বিকৃত ওএমআর শিট উদ্ধার করে সিবিআই। তার মধ্যে ১৩৮ জন ছিলেন ওয়েটিং লিস্টে। এরপরই ববিতার আবেদন, একাদশ-দ্বাদশের বিস্তারিত তথ্য-সহ প্যানেল প্রকাশ করা উচিত। তাহলেই আসল বিষয় সামনে আসবে। ববিতার আবেদন, একাদশ-দ্বাদশের বিস্তারিত তথ্য সহ প্যানেল প্রকাশ পেলে কারা, কীভাবে, কোথায় চাকরি পেয়েছেন তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আবারও ববিতা চাকরি পেতে পারেন বলে আশাবাদী।













































































































































