রাজ্যপালের বি.রুদ্ধে এবার কমিশনে অ.ভিযোগ তৃণমূলের

0
2

এবার সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কমিশনের দারস্থ হল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশনকে চিঠি দিল তৃণমূল। সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় বারবার যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সরকারি গেস্টহাউস বা সার্কিট হাউসে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্যপাল। এইসব অভিযোগ নিয়েই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে গেল তৃণমূল।

অভিযোগপত্রে রাজ্যপালের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসকদল। অভিযোগ করা হয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় সরোজমিনে যাচ্ছেন। সরকার ও কমিশনকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন রাজ্যপাল। কমিশনের বিরুদ্ধে অবাঞ্চিত মন্তব্য করছেন। পাশাপাশি রাজ্যে সমান্তরালভাবে সরকার চালাচ্ছেন রাজ্যপাল, দাবি তৃণমূলের।

পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যপালের সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহারের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, ‘কীভাবে রাজ্যপালের সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহার করতে পারে বিজেপি?’। ভোটের আবহে বারবার হিংসার ঘটনা ঘটায় বারবার কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। হিংসার ঘটনায় রাজভবনে পিস রুমও তৈরি করা হয়েছে। কখনও পুলিশকে তলব করেছেন। কখনও বিডিওর থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন। এই ঘটনাগুলিকেই নিশানা করেছেন তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যে নির্বাচনের যাবতীয় দায় ও দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের উপর। তিনিই সব সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেই জায়গায় রাজ্যপাল যেমন বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন, নানা লোকের সঙ্গে কথা বলছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের থেকে নালিশ শুনছেন- এই বিষয়টি ভাল ভাবে নিচ্ছে না শাসকদল।

প্রসঙ্গত এর আগে একাধিকবার রাজ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। সোমবার বাসন্তীতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি রাজ্যপাল। তারপরে ফোন করে ক্যানিং গেস্ট হাউসে ডেকে নিহতের মেয়ে, যিনি নিজেই তৃণমূল প্রার্থী, তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। এর আগে কোচবিহারেও সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সন্ত্রাস কবলিত ভাঙড়, ক্যানিংয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

আরও পড়ুন- আকাশ ঢেকে যায় ‘তারের জালে’! এবার ‘তারের জঞ্জাল’ সাফে উদ্যোগী পুরসভা