তিন প্রচার সভায় উপচে পড়া ভিড়, অধিকার অটুট রাখতে তৃণমূলকে জয়ী করার ডাক কুণালের

0
2

পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে তৃণমূলের (TMC) তিন তিনটে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সভা। আর তিনটিতেই উপচে পড়ল ভিড়। সেখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের অধিকার অটুট রাখতে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার ডাক দিলেন তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। শুক্রবার, পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে তিন তিনটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভা থেকে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানান দলের মুখপাত্র।

এদিন বিকেলে প্রথম সভাটি ছিল ভগবানপুর-১ ব্লকের বিভীষণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্করপুর হাই স্কুল মাঠে। সভায় কুণাল বলেন, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ভোট দিন। কেন্দ্রে একটা সরকার, যাঁরা প্রতিদিনই জ্বালানি থেকে খাদ্য সামগ্রী থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়েই চলেছে। উল্টোদিকে রাজ্যে একটা সরকার যাঁরা আপনাদের খরচ কমাচ্ছে। কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথীর মতো একের পর জনমুখী প্রকল্প নিয়ে আসছে। এবার আপনারাই ঠিক করুন কাকে ভোট দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) সেনাপতিত্বে তৃণমূল এ রাজ্যে এগিয়ে চলেছে।একুশের ভোটে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে ওরা অনেক কথা বলেছিল, কিন্তু বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকেই আশীর্বাদ করেছেন। আশা করবো এবারও মানুষ আমাদেরই আশীর্বাদ করবেন। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সবকটি আসনেই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করতে হবে। বিজেপি এখানে তৃণমূলের সঙ্গে না পেরে সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছে। এত বড় দল, এত বড় সরকার চলছে। কোনও একটা ছোট ভুল হলে দল সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। উল্টোদিকে আপনাদের অধিকার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে অনেক ভালো কাজও হচ্ছে। ভোট দেওয়ার সময় সেগুলি মাথায় রাখার কথা মনে করিয়ে দেন কুণাল। এদিন বিভীষণপুরের পাশাপাশি সিমুলিয়ার ভিমেসারী বয়েজ স্কুল মাঠ ও কোটেবার কলাবেড়িয়া বাজারে আরও দুটি সভায় বক্তব্য রাখেন কুণাল ঘোষ। তিনি ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা সুপ্রকাশ গিরি, প্রাক্তন বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন- নিরপেক্ষতার অজুহাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন অযৌক্তিক: মত সুখেন্দুশেখরের