গীতশ্রীর বাড়ির ধ্বং.সাবশেষ থেকে কৌশিকীর ঠাকুরঘরে গুলাম আলি! 

0
3

গানের ইন্দ্রধনু অচিরেই বিদায় নিয়েছে, স্বর্ণালী সন্ধ্যার ম্যাজিক ভ্যানিশ হয়েছে লেক গার্ডেন্সের বাড়ি থেকে। কারণ সেখানে যে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee) নেই। তাই হয়তো আজ কিংবদন্তির বাড়িটাও নেই। গত বছরই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে, আচমকাই টেলিভিশনের পর্দায় ব্রেকিং নিউজ হয়ে ফুটে ওঠে, মহান শিল্পীর প্রয়াণের (Sandhya Mukherjee) খবর। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বহমান সুরেলা মোহময় আবেশের স্রষ্টার এভাবে চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ হয়েছিল বাঙালি। কিন্তু দেড় বছরের মাথায় তাঁর বাড়ির উপর যে অভিঘাত নেমে এল, সেটা এখনও বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। সন্ধ্যা-অনুরক্ত বাঙালি কেঁদে উঠছে প্রিয় শিল্পীর বাড়ির ধ্বংসাবশেষের ছবি দেখে। আর সেখানেই প্রত্নসভ্যতার চিহ্নের মতোই দেখা মেলে শিল্পীর টুকরো স্মৃতির। হোক সে বাড়ির ফলকলিপি কিংবা বড়ে গুলাম আলির (Gulam Ali) ছবি। বিষয়টা নজর এড়াইনি শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তীর (Kaushiki Chakraborty)। তাই গুলাম আলি এখন ধ্বংসাবশেষে নয় বরং স্থান পেয়েছেন কৌশিকীর ঠাকুর ঘরে।

বহু স্মৃতিবিজড়িত শিল্পীর প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া বাড়িটির নস্টালজিয়ায় ডুবেছে আপামর বাঙালি। সেই বাড়িতে কত কালজয়ী সৃষ্টি হয়েছে, আজ সব বিস্মৃতির অন্তরালে চলে গেল। নেট মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপের ছবি দেখতে পেয়েছিলেন কৌশিকী। ধ্বংসাবশেষে মাঝে পড়েছিল বড়ে গুলাম আলির ছবি। যা দেখে সুদূর জার্মানিতে বসে রীতিমতো ভারাক্রান্ত হয়েছিল শিল্পীর মন। যে শহরে অনুষ্ঠান করে শ্রোতাদের মন ভরিয়েছেন গুলাম আলি, সেখানে তাঁর এত বড় অপমান সহ্য হয়নি কৌশিকীর। এক নেটিজেনের মাধ্যমে সেই ছবি উদ্ধার করে নিজের ঠাকুর ঘরে নিয়ে গেছেন শিল্পী।

কৌশিকী চক্রবর্তী স্যোশাল মিডিয়া পেজে মানবী নামের এক মহিলাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাড়ির ধ্বংসস্তূপে খাঁ সাহেবের ছবি দেখে তা উদ্ধার করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কৌশিকী যেহেতু জার্মানিতে রয়েছেন তাই সেক্ষেত্রে সশরীরে হাজির হওয়া সম্ভব ছিল না। “ফেসবুকে সে কথা পোস্ট করা মাত্রই মানবী নিজের উদ্যোগে ওই ছবি সংগ্রহ করে আমার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এসেছেন ” বলেই জানান কৌশিকী। এখন তাঁর বাড়িতেই সসম্মানে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন গুলাম আলি। এরপরই অনুরাগীরা প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের প্রিয় সংগীত তারকা কৌশিকীকে।