বৃষ্টিভেজা নয়াদিল্লির রেলস্টেশনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। রেল কর্তৃপক্ষের কোনও সাহায্য মেলেনি। মেয়ের নিথর দেহ সামনে দেখে শোকস্তব্ধ বাবা। সাংবাদিকদের সামনে দেখেই বিজেপি সরকারের উপর ক্ষোভ উগরে বললেন, ‘ স্টেশনের পরিষেবাই যেখানে ঠিকমতো দেওয়া যায়না সেখানে বন্দে ভারতের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রেন চালিয়ে কী হবে’?
আরও পড়ুন:উপত্যকায় গু.লির লড়া.ই! আ.হত ১ সেনা, নি.হত জঙ্গি
রবিবার ভোরে দিল্লি থেকে সপরিবারে চণ্ডীগড় যাচ্ছিলেন পূর্ব দিল্লির প্রীত বিহার এলাকার বাসিন্দা সাক্ষী আহুজা। রেলস্টেশনে বিদ্যুতের খুঁটি স্পর্শ করতেই তড়িদাহত হন সাক্ষী। চোখের সামনে তাঁকে ছটফট করতে করতে মরতে দেখেছেন সাক্ষীর বাবা লোকেশ কুমার চোপড়া।তিনি বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর মেয়েকে নিয়ে ঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। স্টেশন চত্বর থেকে বেরোতেই কেটে গিয়েছে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট।রেল কর্তৃপক্ষ সাহায্য করবে বলেও এগিয়ে আসেনি। কোথাও কোনও অ্যাম্বুল্যান্স, চিকিৎসক বা প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত ছিল না। স্টেশন থেকে হাসপাতালে পৌঁছতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। তখনই লোকেশ বুঝে গিয়েছিলেন, মেয়ে আর নেই।
এদিনের যাত্রায় সাক্ষীর সঙ্গে ছিল তাঁর ন’বছরের পুত্র এবং সাত বছরের কন্যা। সাক্ষীর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেও তাঁর সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে সত্যিটা বলতে পারেননি লোকেশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সাক্ষীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।তখনই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার।
এদিন সাংবাদিকদের লোকেশ জানান, “রেলের তরফে আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। আমাদের এই সিস্টেমের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। আমরা বন্দে ভারতের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রেন চালু করছি, কিন্তু স্টেশনে ঠিক মতো পরিষেবা দিতে পারছি না।’’
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.