পাটনার বৈঠকে মমতাকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বললেন রাহুল!

0
2

‘থ্যাঙ্ক ইউ দিদি’।শুক্রবার পাটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠকে মুখোমুখি হন রাহুল গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনদিন আগেই রাহুলের জন্মদিনে টুইটে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল নেত্রী। পাটনার বৈঠকে মমতা ব্যক্তিগতভাবে সব নেতার সঙ্গেই কথা বলেন। শরীর-স্বাস্থ্যের খরব নেন। সেখানেই রাহুল গান্ধী মমতাকে সকলের সামনে ধন্যবাদ জানান। কিন্তু কেন ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ বললেন রাহুল?

আরও পড়ুনঃকাকভোরে ভূ*মিকম্পে কাঁপল হরিয়ানা

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের মধ্যে কথা কাটাকাটি যখন চরমে ওঠে সেইসময় ও ত্রাতার ভূমিকা নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে বলে সাফ জানান কেজরিওয়াল এবং ভগবন্ত মান। ঝগড়া চলতে থাকে মূলত খাড়্গে ও কেজরিওয়ালের মধ্যে। বৃহস্পতিবার রাতেই আপ ঘোষণা করেছিল, কংগ্রেস কথা না দিলে তারা বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই কথামত কাজ করেননি কেজরিওয়াল।সেটা সম্ভব হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায়।

শুক্রবারের বৈঠকে আপ-কংগ্রেস ঝগড়া যখন চরমে তখন পরিস্থিতি হালকা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়। তিনি বলেন, কেজরিওয়ালজি, খাড়্গেজি এবং রাহুলজি, আপনারা বৈঠক শেষে চা-বিস্কুট নিয়ে এক টেবিলে বসুন। আলাদা করে কথা বলুন। সমস্যা মিটে যাবে।
তৃণমূল নেত্রীর এই কথায় অনেকেই হেসে ওঠেন বটে। হাসির রেখা ফুটে ওঠে খাড়্গে এবং কেজরিওয়ালের মুখেও। কিন্তু মমতার কথা মেনে মুহূর্তে লড়াই থামিয়ে দেন দুই নেতা। পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের অন্য আলোচনা শুরু করেন বৈঠকের আহ্বায়ক নীতীশ কুমার। তখনই নিজের মাইক্রোফোন চালু করে রাহুল তৃণমূল নেত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ দিদি’।
বৈঠকে শেষে মমতা একে একে সব নেতার সঙ্গেই কয়েক মিনিট করে কথা বলেন। নিজেই এগিয়ে যান তাঁদের দিকে। রাহুল তখনও বসে ছিলেন নিজের আসনে। মমতা তাঁর সঙ্গেও কিছুক্ষণ কথা বলেন। হাসিমুখে দু’জনকে কথা বলতে দেখা যায়।