অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বাবা। সেইসময়ই তাঁর উপর চড়াও হন একদল দুষ্কৃতী। প্রথমে বচসা শুরু হয় তারপর রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে তাঁকে।এরপরই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। আর তারপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নকশালবাড়ি। ঘটনায় রীতিমত ফুঁসে ওঠে আদিবাসীরা। তাঁরা দু’টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এমনকী বেশ খানিকক্ষণ এশিয়ান হাইওয়ে অবরোধ চলে।
আরও পড়ুন:পঞ্চায়েত ভোট নিয়েও এবার সিবিআই তদন্ত, নজিরবিহীন নির্দেশ হাইকোর্টের
ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার।নকশালবাড়ির বিজয়নগর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা সুধীর নাগাশিয়া তাঁর চার বছরের অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথেই তাঁর উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তাদের সঙ্গে ওখানেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুধীর। এরপরই তাঁকে ধরে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ডাক্তাররা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি। গুরুতরভাবে জখম হওয়া সুধীর নাগাশিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। পাশেই এশিয়ান হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। জ্বালানো হয় একের পর এক টায়ার। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দু’টি বাড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, এলাকায় মদের দোকান রয়েছে। সেই কারণেই গ্রামের ভিতর দুষ্কৃতীদের এত উপদ্রব। বিক্ষোভের কথা শুনে এলাকায় যান শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ ও সহ-সভাধিপতি তথা আদিবাসী নেত্রী রোমা রেশম একতা। বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.