ফেসবুকে লিখে তৃণমূলের পদ ছাড়লেন মনোরঞ্জন! সব দেখেই সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতৃত্বের: অরিন্দম

0
3

পঞ্চায়েতে তৃণমূলের (TMC) টিকিট দেওয়া নিয়ে জেলা নেতৃত্বের উপর মনক্ষুন্ন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী (Monoranjan Byapari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট (Social Media Post) করে তৃণমূলের বিভিন্ন পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূল বিধায়ক। তবে আপাতত বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না বলেই জানান তিনি। দলের প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এ বিষয়ে জেলার কোনও ভূমিকা নেই। মনোরঞ্জনের অভিযোগ উড়িয়ে জানান শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সভাপতি অরিন্দম গুঁইন (Arindam Guine)।

এদিকে, মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে মনোরঞ্জন ব্যাপারী লেখেন, হুগলির পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটি ও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এই দুই দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। বিধায়ক পদ নিয়ে লেখেন বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেটা ছাড়লে তিনি এখন খাবেন কী?পেনশন পেতে শুরু করলেও সেই পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন বলে জানান মনোরঞ্জন। রাজনীতি আমার মতো মানুষের জন্য নয়- পোস্টে লেখেন বিধায়ক।

তবে এখানেই শেষ নয়, এই প্রার্থী পদ নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক। তবে, মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। কারণ, তাঁদের কাছে দলের পরিস্থিতির কথা সম্পূর্ণ পৌঁছায় না- মনে করেন মনোরঞ্জন।

মনোরঞ্জনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, দলের টিকিট সম্পূর্ণ শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করেন। তাঁরা যেটা ঠিক মনে করেছেন সেটা করেছেন। আর বিধায়ক যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোর্টে যাওয়ার কথা বলছেন, সেটা তিনি যা ঠিক মনে হয় অবশ্যই করতে পারেন। কিন্তু দল সব দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেয়। আর শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত সব দেখেই টিকিট ঠিক করেছেন।