পঞ্চায়েত মামলার রায়: মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ালো না হাইকোর্ট, স্প*র্শকাতার এলাকায় আধাসেনার নির্দেশ

0
4

হাইকোর্টে পঞ্চায়েত মামলার রায়দান । মনোনয়নের সময়সীমায় হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট । রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ৯ জুনের বিজ্ঞপ্তিই বহাল।আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে কমিশন, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট। মনোনয়ন পেশের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কমিশনের উপরেই ছাড়ল হাইকোর্ট।

পঞ্চায়েত ভোটের দিন ক্ষণ নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল তার বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। শুক্রবার এবং সোমবার সেই মামলার শুনানির পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। তার পর আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছিল, শাসক থেকে বিরোধী— সমস্ত পক্ষই। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করে।

আদালত জানিয়েছে,  ‘‘নির্বাচন কমিশনের ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট করানো উচিত। কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা। রাজ্য পুলিশের ঘাটতিও রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের উচিত রাজ্য যা বাহিনী চাইবে তা দেওয়ার।’’

মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে আদালত কোনও মতামত দেবে না।চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং এনসিসি ছেলেদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসাবে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য। স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত কমিশনের।কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ রাজ্য দেবে না। কেন্দ্রকেই দিতে হবে।

এদিন বিচারপতি বলেন, হনুমান জয়ন্তীর সময় আমরা বলেছিলাম সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়াতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে। তারা রাজ্যকে সহযোগিতা করতে এসেছিল। এ ক্ষেত্রেও কমিশন সহযোগিতা চাইতে পারে। কমিশন ৬ থেকে ১০টি জেলাকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে। প্রয়োজনে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা যেতে পারে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলেই ভাল হয়।

সোমবার সকাল ১১টা বেজে ৭ মিনিটে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে পঞ্চায়েত ভোট মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ তা শেষ হয়। মাঝে ছিল মিনিট ৫০-এর বিরতি। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে এই মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত।