শিক্ষাক্ষেত্রে(Education Department) বেলাগাম দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো বাম শাসিত কেরল(Kerala) রাজ্যে। কোনওরকম পরীক্ষা ছাড়াই কেউ পাশ হয়ে গিয়েছেন, তো কেউ আবার ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে দিব্যি চাকরি করছেন কলেজে। এমনই কেলেঙ্কারির ঘটনায় যে নাম উঠে এসেছে তারা সিপিএমের(CPIM) ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের(SFI) শীর্ষ স্তরের নেতা নেত্রী।

কেরলে এহেন কেলেঙ্কারির ঘটনায় মুল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠে এসেছে SFI-এর রাজ্য সম্পাদক পি এম আর্শোর বিরুদ্ধে। এই ব্যক্তি এর্নাকুলামের মহারাজা কলেজের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ছাত্র। দেখা যাচ্ছে স্নাতকস্তরের তৃতীয় সেমিস্টারে সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন আর্শো। কিন্তু বাস্তবে এই নেতা তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষাই দেননি। এর পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে জালিয়াতির ঘটনায় নাম উঠেছে আর এক এসএফআই-এর শীর্ষ নেত্রী কে বিদ্যার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ইনি মহারাজা কলেজে পড়ানোর একটি ভুয়ো অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট জোগাড় করেছেন। এবং সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে অন্য একটি কলেজে চাকরি করছেন। এই দুজনের পাশাপাশি এর্নাকুলামের মহারাজা কলেজের প্রত্নতত্ত্ববিভাগের আরও একাধিক পড়ুয়ার সার্টিফিকেটে গোলযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীরা যখন বামের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ঠিক সেই সময়ে কেরল সিপিএমের শীর্ষ নেতা এ বিজয়রাঘবনের দাবি, এটা কোনও পদ্ধতিগত সমস্যার জন্য হয়েছে। তবে বামেদের বেশিরভাগেরই দাবি, শাসকদলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পাল্টা কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, “সিপিএম নেতারা এখন এমন পর্যায়ে নেমে গিয়েছে যে ছোটদের অন্যায়কেও সমর্থন করছে।” এদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এরাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যে সিপিএম দিনরাত শাসকদলকে আক্রমণ করে যাচ্ছে, কেরলে তারাই এত বড় অভিযোগকে প্রশ্রয় দিচ্ছে কীভাবে?














































































































































