মোদির শৈশবের স্কুলকে শিশুদের ‘প্রেরণা’ হিসেবে গড়ছে কেন্দ্র

0
2

শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক থাকলেও এবার প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) শৈশবের স্কুলকে শিশুদের ‘প্রেরণা’ হিসেবে গড়ে তুলছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে এক প্রকল্প ঘোষণা করে জানানো হয়েছে, ‘প্রেরণা’র অধিনে প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের(Gujarat) যে স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন, সেখানে নবীন প্রজন্মকে দেওয়া হবে ‘দেশভক্তি’ এবং ‘নৈতিকতার পাঠ’। এইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে ঊনিশ শতকের স্কুলটিকে নতুন ভাবে গড়া তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে।

দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শৈশবে প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছিলেন গুজরাটের মেহসনা জেলায় রয়েছে ভাদনগর প্রাথমিক স্কুলে। এই স্কুলকে কেন্দ্র করেই প্রেরণা প্রকল্প চালু করছে মোদির সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রতিটি জেলার ২ জন পড়ুয়া নৈতিকতার পাঠ নেবে। একাধিক পর্বে চলবে বিশেষ শিক্ষাদান। প্রতি পর্বে ৩০ জন পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হবে শিক্ষামূলক সফরের জন্যে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের ৭৫০টি জেলার দেড় হাজার পড়ুয়াকে ৫০ সপ্তাহের প্রকল্পে ‘প্রেরণা’ দেওয়া হবে। ভাদনগর স্কুলেই শুরু হবে নয়া প্রকল্প। প্রেরণার মূল লক্ষ্য হল পড়ুয়াদের মধ্যে দেশভক্তি এবং নৈতিকতা জাগানো, যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করে। ইতিমধ্যেই মোদির এই স্কুলকে বিশেষভাবে গড়ে তুলতে কোমর বেধে মাঠে নেমেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।

উল্লেখ্য, নিজেকে এমএ পাশ বলে দাবি করলেও মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক রয়েছে। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ডিগ্রির সত্যতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আগেই জানিয়েছিলেন, “চাই না, কোনও ভুয়ো ডিগ্রিধারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হোন।” পাশাপাশি জাতীয় তথ্য কমিশন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিলেও তা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি তারা। এই প্রেক্ষিতে উদ্ধব ঠাকরেকে বলতে শোনা যায়, “কোন কলেজ চায় না এটা প্রকাশ্যে আসুক, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সেই কলেজে পড়েছেন।”