তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) জনসংযোগ যাত্রায় জনপ্লাবন দেখে ভয় পেয়েছিলেন। তাঁদের পায়ের তলায় যে মাটি নেই সেটা অনেক আগেই বুঝেছেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর সেই কারণেই হাটবারে হাটের মধ্যে সভা করলেন তিনি। অথচ শনিবার মালদহের বিজেপির সেই সভাতেও লোক জুটলো না। লজ্জা ঢাকতে চেয়ার ঢাকা হল ত্রিপলে।

না আছে কর্মী, না আছে সংগঠন। সভা ডাকলেও জোটে না সমর্থক। সভায় লোক জোটাতে বঙ্গ বিজেপি (BJP) নেতারা নতুন ফন্দি এঁটেছেন। হাটবারে এক হাট লোকের মধ্যে সভা করে এখন মাঠ ভরাতে হচ্ছে। কিন্তু তারপরও শনিবার মালদহের (Maldah) মানিকচকের মথুরাপুরে ভরলো না শুভেন্দুর সভা। শুধু তাই নয়, ফাঁকা মাঠের লজ্জা ঢাকতে চেয়ারগুলি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হল। বিরোধীদল নেতা যখন সভায় এলেন তখন মেরেকেটে সভাস্থলে কয়েকশো মানুষ। অথচ সভার আগে বিজেপি দাবি করেছিলেন, এই সভা নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাকেও ছাপিয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে লোক হাসালো বিজেপি। এই সভার পর শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী তো একটা স্বীকৃত চোর, তোলাবাজ, ঘুষখোর, দালাল। সারদার চোর, নারদার চোর। সিবিআইয়ের এফআইআর নেমড। সারদা কর্তা তো বলেছে ড্রাফটের মাধ্যমে কাঁথি পুরসভাকে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সেটার কেন তদন্ত হচ্ছে না। ওরা বলছে যেখানে টাকা আছে ইডি, সিবিআই সব খুঁজে বের করবে। তা করুক, কোনও আপত্তি নেই। যেখানে টাকা লোকানো আছে সেখানে ওরা যাবে। প্রশ্ন হল, তাহলে তো এজেন্সির সবার আগে কাঁথি পুরসভায় যাওয়া উচিত। কারণ, সারদা কর্তা তো বলেছেন, কাঁথি পুরসভাকে তিনি টাকা দিয়েছিলেন। তাহলে এজেন্সি গিয়ে দেখুক পুরসভার অ্যাকাউন্টে ওই টাকা আছে কিনা, তাহলেই বোঝা যাবে আসলে চোর কে।”
আরও পড়ুন- নিউমার্কেটের হকারদের সংযত হওয়ার বার্তা দিলেন ফিরহাদ






































































































































