সিদ্ধারামাইয়া নাকি শিবকুমার? কর্নাটক নির্বাচনে বিপুল আসনে কংগ্রেসের জয়লাভের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন কে সে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সোমবার দিল্লিতে শীর্ষ কমিটির বৈঠকের পরও জট কাটেনি।মঙ্গলবার ফের কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ডি কে শিবকুমার। বৈঠকে তিনি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চান। এদিকে কর্নাটকের অধিকাংশ কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্ধারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইলেও,শিবকুমারের এই মনোভাবের জেরেই মঙ্গলবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি বলা মনে করা হচ্ছে।বুধে কী কাটবে জট?

আরও পড়ুন:সিদ্দারামাইয়া নাকি শিবকুমার, মুখ্যমন্ত্রীর নাম জল্পনার মাঝেই ঘোলাজলে মাছ ধরছে লিঙ্গায়েতরা
কংগ্রেস সূত্রের খবর, শিবকুমারকে জানানো হয়, দলের অধিকাংশ বিধায়ক সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন। শিবকুমারের জন্য খাড়গের প্রস্তাব ছিল উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার। পছন্দমাফিক দফতর তাঁকে দেওয়া হবে। তাঁর অনুগামীদেরও পছন্দমাফিক দফতর দেওয়া হবে। শিবকুমারই ঠিক করবেন, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার পদে কে কোথায় বসবেন। লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত তিনি প্রদেশ সভাপতির পদেও থাকবেন।কিন্তু উত্তরে শিবকুমার জানিয়ে দেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীই হতে চান। কারণ তিনি সোনিয়া গান্ধীকে কথা দিয়েছিলেন কর্নাটক জিতে আনবেন। আর তাই তিনি করে দেখিয়েছেন। সিদ্ধারামাইয়া আগেও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।তিনি ফের কেন মুখ্যমন্ত্রী হবেন? জেডিএস থেকে কংগ্রেসে এসে সিদ্ধারামাইয়া বরাবর মুখ্যমন্ত্রী বা বিরোধী দলনেতার পদ পেয়ে এসেছেন বলেও অনুযোগ করেন শিবকুমার। তিনি যুক্তি দেন, রাজ্যে তাঁর সভাপতিত্বে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছে। প্রথামাফিক তাঁরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা। প্রায় পঞ্চাশ মিনিট বৈঠকের পরে সিদ্ধারামাইয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন খাড়গে।কিন্তু সিদ্ধারামাইয়াও জানিয়ে দেন যেহেতু সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন তাঁর দিকে, তাই তাঁরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত। তবে শিবকুমারের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে নিতে আপত্তি নেই। তিনি প্রথম আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরে শিবকুমার শেষ আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।
কর্নাটকের কুর্সিতে কে বসবেন তা নিয়ে সিদ্ধারামাইয়া ও শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠকের আগে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন খাড়গে। দুপুরে ফের কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল দশ জনপথে গিয়ে রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন। বুধবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে কে বসবেন তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ফের বৈঠক করবেন খাড়গে। কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব হল, ওবিসি নেতা সিদ্ধারামাইয়া মুখ্যমন্ত্রী না হলে বিজেপি সরব হতে পারে। আবার শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী না হলে সংগঠনে ভুল বার্তা যেতে পারে।
যদিও স্বস্তির খবর, বৈঠকের পর শিবকুমার জানান, দল তাঁর কাছে মায়ের মতো। তিনি পদত্যাগ করবেন না। পিছন থেকে ছুরিও মারবেন না। তাঁর এখন লক্ষ্য, লোকসভা ভোটে কর্নাটকের ২৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২০টি আসনে জেতা।








































































































































