মাত্র ৭ মাস হল দায়িত্বে এসেছেন, এরইমাঝে কার্যত অতলে তলিয়ে যেতে বসা শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেসকে(Congress) তাঁর যোগ্য আসনে বসাতে চেষ্টার কোনও কসুর করছেন না কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে(Mallikarjun Kharge)। ৭ মাসের সভাপতিত্বে বিজেপির(BJP) বিরুদ্ধে ৩ বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে তাঁর স্কোর ২-১। পাশাপাশি লড়াইটা যদি ক্যাপ্টেন বনাম ক্যাপ্টেন হয় সেক্ষেত্রে খাড়গের সাফল্য চমকে দেওয়ার মতো। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গড় হিমাচলে(Himachal) জয় পেয়েছে খাড়গের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। এবার নিজের গড় কর্নাটকেও(Karnataka) বিজেপির থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে আনলেন গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন।
কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর মল্লিকার্জুন খাড়গের প্রথম পরীক্ষা ছিল গুজরাট ও হিমাচলের বিধানসভা নির্বাচন। এই দুই রাজ্যের একটি ছিল মোদি গড় ও দ্বিতীয়টি খোদ বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার গড়। সেই লড়াইয়ে গুজরাটে হারলেও হিমাচলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় পায় কংগ্রেস। গত বছরের ১২ নভেম্বর হিমালয় ঘেরা ওই পাহাড়ি রাজ্যের ভোটে ক্ষমতাসীন বিজেপি পর্যুদস্ত হয়। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা নিয়ে কংগ্রেস দখল করে হিমাচলের কুর্সি। আর এবার দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও সসম্মানে উত্তীর্ণ খাড়গে। সে হিসেবে দেখলে কন্নড় এই দলিত নেতার সাফল্যের হার ৬৬.৬৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, ২০২০ সালে অমিত শাহের জায়গায় বিজেপি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের নেতা নড্ডা। তাঁর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, তামিলনাড়ু, কেরলের মতো রাজ্যের বিধানসভা হেরেছে বিজেপি। তবে সবচেয়ে বড় লজ্জার হার হয় নাড্ডার নিজ রাজ্য হিমাচল প্রদেশে। একদিকে যখন একের পর এক রাজ্যে নাড্ডার নেতৃত্বে ‘নাস্তানাবুদ’ বিজেপি, অন্যদিকে তখন ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে এসে পাওয়ার প্লের ওভারে একের পর ছয় হাঁকাচ্ছেন দল্লিত কন্নড় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর নেতৃত্বে নতুন করে অক্সিজেন পাচ্ছে কংগ্রেস।