বকেয়া DA বা মহার্ঘভাতা নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটি অংশ। সমাবেশ করছেন তাঁরা। ঘোলা জলে মাছ ধরতে তাদের মঞ্চে আবার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভিড়। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন রয়েছে DA মামলা। আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অন্যান্য বহু মামলার সঙ্গে আদালতে শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। আপাতত বলা হয়েছে জুলাইতে হবে DA মামলার শুনানি। আর সুপ্রিম কোর্টের এমন সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শীর্ষ আদালতে DA মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে দিলেন শুভেন্দু। করলেন বিতর্কিত ও বিস্ফোরক মন্তব্য।
আজ, শনিবার হাজরায় DA আন্দোলনকারীদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে শুভেন্দু বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা হলে তিন দিনে ডেট চলে আসে। আর ডিএ মামলা ডিসেম্বর থেকে জুলাইতে চলে যায়। এইসব পিছনের খেলা আমরা জানি।”
পুজোর পর শুভেন্দু দাবি করছিলেন, ডিসেম্বরের তিনটি দিনে খুব তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটবে। যাতে সরকার পড়ে যেতে পারে। তারিখ তিনটি ছিল ১২, ১৪ এবং ২১। এর মধ্যে একটি দিনে সুপ্রিম কোর্টে DA মামলার শুনানি ছিল।কিন্তু তা হয়নি। এবং তার পর থেকে DA মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে অনেকবার পিছিয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই এদিন DA মঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা নিয়ে কার্যত প্রশ্ন তুলে দেন। সেটিং তত্ত্ব খাড়া করেন। বিরোধী দলনেতার এমন বক্তব্যকে আদালত অবমাননা বলে অভিযোগ করে শাসক দল।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্যের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “আদালতে মামলার তারিখ কী হবে সে তো আদালত ঠিক করে। সুপ্রিম কোর্টের উচিত শুভেন্দুকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা, পর্দার পিছনের খেলাটা কী! শুভেন্দু সেটিংয়ের কথা বলছে আদপে সুপ্রিম কোর্টকে অবমাননা করছে।”
এদিন DA আন্দোলনকারীদের মিছিলকেও কটাক্ষ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “একদিকে DA মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে, আবার DA-এর দাবিতে রাস্তায় নামছে একদল। সুপ্রিম কোর্টও সম্ভবত বিস্মিত।” তাঁর সংযোজন, “হিন্দু মহাসভার হল বুক করে দিল্লিতে থাকে আন্দোলনকারীরা। কিন্তু কেন্দ্রকে কোনওদিন বাংলার বকেয়া মেটাতে বলেন না। আবার আন্দোলনের মঞ্চ থেকে ব্যক্তিগত, কুরুচিপূর্ণ আক্রমণ, যে ভাষায় কথা বলছে, তাতে বলতেই হচ্ছে এটা DA আন্দোলনের মঞ্চ নয়, এটা আসলে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসের অতৃপ্ত আত্মাদের সমাবেশ। এর সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের কোনও সম্পর্ক নেই। আজ অনেক কর্মী দফতরে বসে কাজ করেছে।”
আরও পড়ুন- কোনও নেতার আশীর্বাদের প্রয়োজন নেই কর্নাটকের: প্রচারে এসে মোদিকে তোপ সোনিয়ার