গান নিয়ে মনোময়ের সঙ্গে প্রকাশ্য সংঘা.তে জোজো, বাড়ছে বিজ্ঞাপন বিত.র্ক!

0
4

বাঙালি শ্রোতাদের কাছে দুই শিল্পীই বড্ড প্রিয়। দুজনের আলাদা স্টাইল থাকা সত্ত্বেও দর্শকের মনের মনিকোঠায় দুজনেরই স্বতন্ত্র জায়গা রয়েছে। তাহলে কী এমন ঘটলো যার জন্য গায়ক মনোময় ভট্টাচার্য (Manomay Bhattacharya) আর শিল্পী জোজোর (Jojo) মধ্যে দূরত্ব তৈরি হল? গোটা ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিজ্ঞাপন বিতর্ক(Advertisement Controversy)। বিজ্ঞাপনে ‘জিঙ্গল’ (Jingle) গাওয়া নিয়ে নিজের মত স্পষ্ট করেছিলেন মনোময় (Manomay Bhattacharya)। এবার প্রকাশ্যে তার বিরোধিতা করে সংঘাত বাড়ালেন গায়িকা (Jojo)।

আধুনিক গান এবং সিনেমার গান ছাড়াও বিজ্ঞাপনে গান গাওয়া অর্থাৎ যাকে ‘জিঙ্গল’ বলা হয় সেই শিল্পীদের চাহিদাও কিন্তু কম নয়। বাংলা গানের অন্যতম শিল্পী জোজো টলিউডের জিঙ্গল গায়িকা হিসেবে বেশ সুপরিচিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মনোময় বিজ্ঞাপনে গান গাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। নিজের সঙ্গীত রুচি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গায়ক জানিয়েছেন তিনি ‘ ক্লাস’-এর জন্য গান করেন, ‘ মাস’ আসলে তাঁর টার্গেট শ্রোতা নয়। তিনি জানান, সাবান, চানাচুর, লোহালক্কড়- এইসবের বিজ্ঞাপনে কখনই গান গাইবেন না। এরপরই গায়কের কথার বিরোধিতা করেন জোজো। রান্নার মশলা থেকে শাড়ি সব ধরনের বিজ্ঞাপনে জিঙ্গল গেয়েছেন গায়িকা। তাঁর মতে, ‘‘মনোময়দার মতো গুণী শিল্পীর এ ধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়। আর কোনও কাজই তো ছোট নয়। মানুষের পছন্দ-অপছন্দ থাকে। কিন্তু, আমি যদি নিজেকে একজন প্লেব্যাক শিল্পী মনে করি, তা হলে প্রতিটা মুহূর্তে এতটা বাছাই করে গান গাওয়া সম্ভব নয়।” ক্লাস বনাম মাস – এর লড়াইয়ে তিনি দ্বিতীয়টিকে সমর্থন করে বলেছেন দর্শক শ্রোতা অর্থাৎ জনগণ না থাকলে আজ এই জায়গায় তিনি পৌঁছতে পারতেন না। তাই শ্রোতাদের কথা মাথায় রাখা এবং তাঁদের পছন্দ-অপছন্দের খেয়াল রাখা একজন সঙ্গীত শিল্পীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

এতকিছুর পর সঙ্গীত মহলে গায়ক গায়িকার মতামত নিয়ে একাধিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এই প্রেক্ষিতে শিল্পী মনোময়ের সঙ্গে কথা হয়েছে জোজোর বলেই খবর।