প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন! মোদিকে তাক করে ছোড়া হল মোবাইল! কেন?

0
2

ভোটপ্রচারে কর্নাটকে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।রীতিমত ঢাকঢোল পিটিয়ে রোড শো করে প্রচারাভিযানে নেমেছেন তিনি। কিন্তু এ কি! নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে মোদির গাড়িকে তাক করে উড়ে এল একটি মোবাইল। যদিও সেটি প্রধানমন্ত্রীর গায়ে সেটি লাগেনি। তবে, এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।


আরও পড়ুন:একচিলতে ঘরে সংসার চালাতে ভরসা টিউশন, এমন পঞ্চায়েত প্রধান আপনাকেও গর্বিত করবে
কর্নাটক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির দিকে যে মোবাইলটি উড়ে এসেছিল, সেটি এক মহিলার। তিনি বিজেপি কর্মীও বটে। পুলিশের ধারণা, অসৎ ইচ্ছা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ফোন ছোড়া হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর তাদের মনে হচ্ছে, ফোনটি মহিলার হাত থেকে ছিটকে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি আধিকারিররা ফোনটি ফেরত দেন ওই মহিলাকে। তবে পুলিশ তাঁর সন্ধান পায়নি। ওই মহিলার খোঁজ মিললে এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে বলে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) অলোক কুমার জানিয়েছেন।

আগামী ১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রবিবার সে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার মাইসুরুতে রোড শো-ও করেন। ওই রোড শো চলাকালীনই মোদির গাড়ি লক্ষ্য করে মোবাইল ছোড়া হয়।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কর্নাটকেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। সে বার হুবলিতে জাতীয় যুব উৎসবে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন মোদি।বিমানবন্দরে নেমে কর্মসূচিস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়েছিলেন। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর পাশ দিয়ে ছুটছিলেন তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা। তখনই নিরাপত্তা বলয় টপকে মোদির একেবারে কাছে পৌঁছে যান এক যুবক। তাঁকে মালা দিতে যান। ওই ঘটনার পরেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)। কনভয়ের বহির্বলয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে রাজ্য পুলিশ। সেই সমস্ত বলয় ভেঙে কী ভাবে যুবক ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যদিও হুবলির পুলিশ কমিশনার দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কোনও রকম গাফিলতি হয়নি।

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে মোদির নিরাপত্তার বিষয়টি থাকলেও কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে অমিত শাহের দিকে।