আইএসএল-সুপার কাপ অতীত। এএফসি কাপের প্রাথমিক রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করেই মরশুম শেষ করতে চায় এটিকে মোহনবাগান। এএফসি কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা পর্বের ম্যাচ খেলতে সোমবার কেরলের কোঝিকোড় রওনা হচ্ছে মোহনবাগান। বুধবার সেখানে আইএসএলের অন্যতম শক্তিশালী দল হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে নামবে জুয়ান ফেরান্দোর দল। এই ম্যাচ জিতে এএফসি কাপের প্রাথমিক রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করেই মরশুম শেষ করতে চায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।সোমবার সকালে যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে প্রস্তুতি সেরে শহর ছাড়বেন লিস্টন কোলাসো, দিমিত্রি পেত্রাতোসরা। দলে কোনও চোট সমস্যা নেই। দিন তিনেক আগে আশিস রাই অনুশীলনে হাঁটুতে চোট পেলেও এখন ফিট। মরশুমের শেষ ম্যাচ যে কোনও মূল্যেই জিততে মরিয়া মোহনবাগান।

দলের আক্রমণভাগের প্রধান ভরসা অস্ট্রেলীয় দিমিত্রি বলেন, ‘‘আমরা আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে থেমে থাকতে চাই না। গত বছর এই প্রতিযোগিতায় ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে উঠেছিলাম। এবার আরও উপরে ওঠাই লক্ষ্য। এশীয় পর্যায়ে ভাল কিছু করলে ক্লাবের সুনাম ও ব্যাপ্তি বাড়বে। তাই সবার আগে হায়দরাবাদকে হারাতে হবে। এটাই মরশুমের শেষ ম্যাচ। পরের মরশুম ভালভাবে শুরু করতে হলে শেষ ম্যাচ জেতাটা জরুরি। হায়দরাবাদ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। এই মরশুমে ওদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি সাক্ষাতের ফল ১-১। সেটা এবার আমাদের পক্ষে ২-১ করতে হলে সবাইকে সেরাটা দিতে হবে।’’

সবুজ-মেরুনের ডিফেন্ডার শুভাশিস বসু বলেন, ‘‘সুপার কাপে ব্যর্থতার প্রভাব এই ম্যাচে পড়বে না। অনুশীলনে আমরা নিজেদের তৈরি করেছি। মরশুমের শেষ ম্যাচ হারা চলবে না।’’ আশিক কুরুনিয়ন কেরলের ছেলে। কোঝিকোড়ে নিজের শহরে হায়দরাবাদ ম্যাচটা জিততে চান। আশিক বলেন, ‘‘সুপার কাপের ফাইনাল খেলতে চেয়েছিলাম নিজের শহরে। সেটা হয়নি বলে হতাশ হয়েছিলাম। এবার আর সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।’’
আরও পড়ুন:ধোনির চেন্নাইকে ৪ উইকেটে হারাল ধাওয়ানের পাঞ্জাব










































































































































