এক বা দুই নয় টানা পাঁচদিন ধরে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে ধর্মঠাকুরের পুজোর আয়োজন বঙ্গ কুম্ভ মেলার (Banga Kumbha Mela)। সাধুরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে জানা যাচ্ছে। বকলমে রয়েছে গেরুয়া শিবির (BJP)। মেলা থেকে ভজন-কীর্তন , সাধু সমাবেশ থেকে সন্ধ্যা আরতি- আগামী ৫ থেকে ৯ মে ২০২৩ পর্যন্ত এবার ধর্মতলায় ধর্মপুজো। কলকাতার মহানির্বান মঠের (Mahanirban Math)সাধারণ সম্পাদক স্বামী সর্বানন্দ অবধূত মহারাজ জানিয়েছেন, ধর্মতলার প্রাচীন ঐতিহ্য আর ইতিহাসকে ফিরিয়ে আনার জন্যই এই উদ্যোগ। ধর্মঠাকুরের পুজোর জন্যই এই অঞ্চলের নাম হয়েছিল ধর্মতলা। সেই অতীতকেই এবার ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
ভোটের আগে কলকাতার মানুষের মন জয় করতে এবার মহানগরীর রাজপথে কি হিন্দুত্বে শান দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির? আয়োজকরা বলছেন , প্রাচীন কাল থেকে ধর্মতলা পূণ্যভূমি এবং সেখানে সর্বজনীন পুজো হত। এই পূণ্যভূমিতে প্রতিদিন কতরকম উৎসব ও আন্দোলন সভা হয়। কলকাতা প্রেস ক্লাবের (Press Club)পাশে যে জলাশয় রয়েছে, সেই মনোহর দাস তরাগ প্রাঙ্গণে ধর্মঠাকুরের পুজো হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই পুজোর পিছনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও (Biswa Hindu Parishad)রয়েছে । নমামি গঙ্গে টিমের আহ্বায়ক তথা বিজেপি নেতা গোপাল সরকারের দাবি, এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান অরাজনৈতিক। ধর্মতলায় ধর্মপুজো হবে না, এটা হতে পারে না। তিনি ধর্মতলার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টাও করেন। এই ধর্মঠাকুর পুজো নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে সিপিএম। ধর্মকে কেন্দ্র করে ধর্মতলার নাম হয়নি দাবি করে সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)বলেন, বিজেপি মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচি আসলে যে হিন্দু ভোট টানার পরিকল্পনা এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।