কালিয়াচকের নাবালিকা খুনের রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। মালদহ থেকে গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ধর্ষণ করা হয়েছে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে। তারপরেই ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন:গু*রুতর অ*ভিযোগ আনলেন ধর্নায় বসা কুস্তিগির বিনেশ ফোগাট
সাংবাদিক বৈঠকে মালদহ জেলার পুলিশ সুপার জানান, মঙ্গলবার অজ্ঞাতপরিচয় ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হতেই তদন্ত শুরু হয়। মালদহ, গাজোল, কালিয়াচক ও ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকদের নিয়ে একটি দল তৈরি করা হয়। বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে ধর্ষণের বিষয়টি উঠে না এলেও পরে মালদহ থানার সূত্রে কিছু তথ্য প্রমাণ তাঁদের হাতে আসে। সেই সূত্রেই দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তাঁরা। পুলিশ সুপার বলেন, “পুলিশের জেরায় দুই যুবকের একজন খুনের কথা কবুল করে। জানায়, ন’দিন আগে ফোন মারফত ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। মঙ্গলবারই তাদের প্রথম দেখা হয়। শারীরিক সম্পর্কও হয়। এরপর ওই ছাত্রী বিয়ের কথা বলায় বচসা বাধে। তখন গলায় ওড়না জড়িয়ে ওই ছাত্রীকে সে খুন করেছে।”
কালিয়াচকের আকন্দবেড়িয়া গ্রাম উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত এলাকায় খেতের ধারে মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা ওই নাবালিকার দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। কালিয়াচক থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ওই মেয়েটিকে এলাকায় আগে কেউ দেখেননি বলে জানিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। তবে তার পোশাক ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে দেখে স্কুলছাত্রী বলে অনুমান করে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ মণ্ডল বিবাহিত এবং দুই শিশুর বাবা। যেখানে ওই নাবালিকার দেহ পাওয়া গিয়েছিল সেখান থেকে দু’ কিলোমিটার দূরে রামনগরের বাড়ি ওই যুবকের।