গত কয়েক বছর ধরে নানান সংকটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। একদিকে ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে মুদ্রার মূল্যমানের রেকর্ড পতন, জ্বালানি তেলের আকাশছোঁয়া দাম আর নিত্যপণ্যের অস্থির বাজারে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।
ওয়াকিবহালমহলের মত, পাকিস্তানি নাগরিকরা নিম্ন উৎপাদনশীলতা, নিম্নমুখী অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং দুর্বল জনস্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য ভুগবে।একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের বড় শহরে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে পাকিস্তানের অর্থনীতি একটি গুরুতর আর্থিক সংকট থেকে ভুগছে, এবং এই সময়ে, জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতীয় বাসিন্দারা ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর এবং অন্যান্য শহরে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে পাকিস্তানে মাফিয়ারাজ অত্যন্ত শক্তিশালী হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ হারাচ্ছেন।প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে গত মাসে কয়েক ডজন কাশ্মীরি বিনিয়োগকারীকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু সেই অপরাধের কোনও তথ্য সরকারের কাছে নেই।
কারও কারও মতে পাকিস্তানে যে কেউই শীর্ষে আসুক না কেন পাকিস্তানে তিনটি জরুরি জাতীয় সংকটের সমাধান করা মোটেই সহজ নয়।অভিযোগ, এই গুরুতর সমস্যাগুলি সমাধানের কোনও ইচ্ছাই কারও মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। এই তিনটি স্বতন্ত্র জাতীয় সংকট একত্রিত হয়ে ক্রমাগত নিম্ন উৎপাদনশীলতার গভীর সঙ্কট তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে, গত মাসে জম্মু-কাশ্মীরের জন্য ঘোষিত বাজেট আর্থিক ভাবে বিধ্বস্ত পাকিস্তানের জন্য আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (IMF) ঋণ প্যাকেজের থেকেও বেশি। কাশ্মীর নিয়ে বহু দশক ধরেই পাকিস্তানের আগ্রাসী মনোভাবের মধ্যেই ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে এই তথ্য। যা আরও একবার পাকিস্তানের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ব্যর্থতাকে আরও প্রকট করে তুলছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের।
তথ্য বলছে, খাদ্যসামগ্রীর দাম ৪৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে, এবং এমনকি ধনীরাও ক্রমবর্ধমান দামের সাথে মোকাবিলা করার জন্য জীবনধারার পরিবর্তন করছেন।পাকিস্তান চলতি অর্থবছরে অর্থনীতি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা দয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।