যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে মর্মান্তিক বিপর্যয়। ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৮০ জনের। আহত আরও শতাধিক। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রমজান শেষে ঈদ উল-ফিতরের আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে মধ্যে টাকা বিলি করা হচ্ছিল। তা সংগ্রহ করতে গিয়েই হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কি হয়। পদপিষ্ট হয়ে প্রায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। বিগত কয়েক দশকে এটাই সবথেকে ভয়ঙ্কর পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:কোচবিহার থেকে ‘সংযোগ যাত্রা’য় নামছে তৃণমূল, আজ বার্তা অভিষেকের

ইয়েমেন বিশ্বের মধ্যে অন্যতম গরিব দেশ। হুথির অভ্যন্তরীণ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইয়েমেনের বাব আল-ইয়েমেন জেলার সানা শহরে ব্যবসায়ীরা গরিব মানুষদের জন্য ঈদ উপলক্ষে টাকা বিলির অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই শতাধিক মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন। বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হতেই জমায়েত করা মানুষদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। মাটিতে পড়ে যান বহু মানুষ। পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩২২ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে বহু মহিলা ও শিশুও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, সানা শহরে একটি স্কুলে এই টাকা বিলির অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ত্রাণ সংগ্রহ করতেই শতাধিক মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। স্কুলের ভিতরে ঢোকা নিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু হতেই পদপিষ্ট হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পদপিষ্টের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মৃতদেহের স্তূপ জমা হয়েছে। এক দেহের উপরে আরেক দেহ পড়ে রয়েছে সারবদ্ধভাবে। যে কয়েকজন আহত হয়েছেন, তাদেরও আর্তচিৎকার শোনা যায়। সেনাবাহিনীর সশস্ত্র জওয়ান ও ত্রাণবিলির অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবকরাই ভিড়ের মধ্যে থেকে সাধারণ মানুষকে টেনে উদ্ধার করেন।

জানা গিয়েছে, আহতদের পাশ্ববর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা টাকা বিলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, তাদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।








































































































































