উপাচার্য নিয়োগের আইনে বড়সড় বদল আনছে রাজ্য। উপাচার্য নিয়োগের জন্য তৈরি করা সার্চ কমিটিতে এবার তিনজন প্রতিনিধি নয়, থাকবেন পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে মতভেদের জেরে এব্যপারে দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের লক্ষ্যে হাঁটছে রাজ্য সরকার।

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে সার্চ কমিটি গঠনের নিয়মে বদল আনা হচ্ছে। অর্ডিন্যান্স জারি করে এই বদল আনার অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য নতুন সার্চ কমিটিতে তিনজনের বদলে থাকবেন পাঁচ সদস্য। পুরনো নিয়ম ফিরিয়ে এনে ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশনের মনোনিত একজন প্রতিনিধিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য গঠিত এই সার্চ কমিটিতে রাখা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা সংসদের একজন প্রতিনিধিও থাকবেন। সামনে রাজ্য বিধানসভার কোনও অধিবেশন নেই। তাই নতুন বিল এনে বিধানসভায় পাশ করিয়ে সার্চ কমিটির গঠন বদল করা সম্ভব নয়। তাই, অর্ডিন্যান্স জারি করে এই বদল আনতে চাইছে রাজ্য সরকার।
এদিকে মঙ্গলবারেই ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। বর্ধমানের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (নিবন্ধক)কে বরখাস্ত করেছিলেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। রাজ্যপাল তথা আচার্য আজ মঙ্গলবার সেই রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে কোর্ট মিটিং ডাকার। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন রাজ্যপালও।গত ১৬ এপ্রিল শিক্ষা দফতরকে না জানিয়েই নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে চন্দন বসুকে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। অভিযোগ, তা জানানো হয়নি শিক্ষা দফতরকে। নিয়োগের আগেও আলোচনা করা হয়নি। আরও অভিযোগ, উপাচার্য হিসেবে রঞ্জন চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে শিক্ষা দফতর নতুন নামের প্রস্তাব পাঠিয়েছিল রাজভবনে। তার উত্তর আসেনি। তারপর একদিন কাটতে না কাটতেই ফের একাই সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন- তীব্র দহনে রাজ্যে পানীয় জলের সরবরাহ ঠিক রাখতে জরুরি নির্দেশ মুখ্যসচিবের




































































































































