পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) এবং তার ভাই আশরফের মৃত্যুর পর যোগী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গোটা দেশে। তবে নিজে রাজ্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে একেবারেই থামতে নারাজ যোগীর পুলিশ। তাতে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা যতই রশাতলে যাক না কেন। সূত্রের খবর, আতিকের পর যোগীর পুলিশের হিটলিস্টে রয়েছে আরও ৬১ জন দাগি অপরাধী। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের(Yogi Adityanath) সবুজ সঙ্কেত দিলেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেমে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ(UP Police)।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৬১ জনের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে মদ মাফিয়া, জঙ্গল মাফিয়া, বালি মাফিয়া, গরু পাচারকারী সহ অন্যান্য অপরাধী। এইসব অপরাধীদের হাতে এবং ভাতে মারতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এনকাউন্টারের পাশাপাশি এই অপরাধীদের ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। যার জন্য যোগী আদিত্যনাথের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। তালিকায় অন্যতম নাম মদ মাফিয়া সুধাকর সিং। এর মাথার দাম ১ লক্ষ টাকা। যদিও বর্তমানে জেলে বন্দী এই অপরাধী। আরেক মদ মাফিয়া গুড্ডু সিংও জেলবন্দি। গত বছর গুড্ডুর নিয়ন্ত্রিত একাধিক ঘাঁটিতে হানা দিয়ে ১২ কোটি টাকার অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আরেক ত্রাশের নাম গব্বর সিং। তার বিরুদ্ধে জমি ক্রোক, ডাকাতি, খুন-সহ ৫৬টি মামলা ঝুলছে। মাথার দাম ১ লক্ষ টাকা। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রথম ২৫ দুষ্কৃতীর তালিকায় রয়েছে উধম সিং। তার বিরুদ্ধে খুন, হত্যা, জোর পূর্বক টাকা আদায়-সহ অগুন্তি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি যোগেশ ভাদৌরা, বদন সিং, অজিৎ চৌধুরী, ধর্মেন্দ্র কিরথাল, সুনীল রাঠি, অভিষেক সিং, নিহাল আলিয়াস, রাজন তিওয়ারি, সুধীর কুমার সিং, বিনোদ উপধ্যায়, রিজওয়ান জাহির, দিলীপ মিশ্র, অনুপম দুবে, হাজি ইকবাল, বাচ্চু যাদব, জুগনু ওয়ালিয়া, লাল্লু যাদবের মতো ভয়ংকর দুষ্কৃতীরা রয়েছে পুলিশের হিটলিস্টে।
তবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনের পথ ছেড়ে আইনকে অপব্যবহারের যে ঘটনা উত্তরপ্রদেশে ঘটছে তাতে উদবিগ্ন গোটা দেশ। যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বেলাগাম এনকাউন্টারের। এরই মাঝে মাফিয়াদের উদ্দেশে যোগীর হুঙ্কার “ভবিষ্যতে আর কোনও মাফিয়া কিংবা দুষ্কৃতী রাজ্যের শিল্পপতিদের ফোন করে হুমকি দেওয়ার সাহস করবে না।”