ছোট থেকেই রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকত মেয়েটা। চাঁদ, তারা ,মেঘ পেরিয়ে যেন আরও অনেক অজানা কিছুকে খুঁজতে চাইতো তাঁর দুই চোখ। মহাকাশের ওপার থেকে সত্যিই কি কেউ একইভাবে দেখতে পেয়েছিল আলিপুরদুয়ারের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুসকান চৌধুরীকে (Muskan Choudhary)? কিছুটা রূপকথার মত শোনালেও , গল্পের থেকেও সত্যি হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে মুসকানের জীবনে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশন বা ইসরোর (ISRO) শিবিরে বিশেষ প্রশিক্ষণের ডাক পেয়েছেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduwar) মেয়েটা। কিশোরীর সাফল্যে খুশি পরিবার থেকে শুরু করে জেলার মানুষও।

আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার দিনবাজারের বাসিন্দা ওমপ্রকাশ চৌধুরীর মেয়ে মুসকান চৌধুরী। বর্তমানে জটেশ্বর মর্নিং স্টার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ছোট থেকেই মুসকান চৌধুরীর স্বপ্নকে সযত্নে লালন করেছেন তাঁর স্কুলের শিক্ষকরা। এবার সবটা সত্যি হওয়ার পালা। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই অবিশ্বাস্য ঘটনা? মুসকান জানান, ছোট থেকেই মহাকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। ইসরোর এই প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে অনলাইনে পরীক্ষা দিয়েছেন চলতি মাসের ৩ তারিখে। মোট দুটো রাউন্ডে পরীক্ষা হয়। গত ১০ এপ্রিল ফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে সে। আগামী ১৪ মে ইসরোর সেন্টারে পৌঁছবেন তিনি। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে (Satish Dhawan space centre) ২৭ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে তাঁর। মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবা। বাংলার মেয়েটার এবার মহাকাশ জয়ের পথ চলা শুরু।






































































































































